DC vs LSG: তীরে এসে তরী ডুবছিল, আশুতোষের ব্যাটের তাণ্ডবলীলায় হারা ম্য়াচ জিতল দিল্লি
IPL 2025: এত বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই প্রয়োজন ছিল একটা বড় পার্টনারশিপের। জ্যাক ফ্রেসার ম্য়াকগুর্কের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ফাফ ডু প্লেসি।

বিশাখাপত্তনম: ২১০ রানের লক্ষ্যমাত্রা। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় দিল্লির ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৬৫ রানের মাথায়। কিন্তু সেখান থেকেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন তাঁরা দুজন। একজন আশুতোষ শর্মা ও দ্বিতীয়জন বিপরাজ নিগম। দুজনে মিলে বিশাপত্তনমের ২২ গজে ঝড় তুললেন। আর সেই ঝড়েই স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গেল লখনউ সুপারজায়ান্টসের। যেই ম্য়াচ হারতে বসেছিল ঘরের মাঠে দিল্লি, সেই ম্য়াচ একার হাতে জিতিয়ে দিলেন ২ ভারতীয় তরুণ ব্যাটার। ৩ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতল দিল্লি ক্যাপিটালস।
এত বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই প্রয়োজন ছিল একটা বড় পার্টনারশিপের। জ্যাক ফ্রেসার ম্য়াকগুর্কের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। দুজনেই এবার প্রথম এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে খেলছেন। কিন্তু কেউই রান পেলেন না। জ্যাক ১ রান করে আউট হলেন শার্দুলের বলে। সেই ওভারেই খাতা খোলার আগেই ফিরলেন অভিষেক পোড়েলও। এরপর ডু প্লেসি ও অক্ষর মিলে কিছুক্ষণ দলকে ভরসা দেন। তবে ডু প্লেসি ২৯ ও অক্ষর ২২ রানেোই ফিরে যান। স্টাব এসে ভাল শুরু করেছিলেন। তবে ৩৪ রান করে তিনিও ফিরে যান। ১১৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দিল্লি। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন আশুতোষ ও বিপরাজ। বিপরাজ ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন পাঁচটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে। তিনি ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন আশুতোষ। ম্য়াচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৫টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। রূদ্ধশ্বাস ম্য়াচে দিল্লির তরী পার করিয়ে দেন এই তরুণ ডানহাতি।
লখনউয়ের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিচেল মার্শ ও এইডেন মারক্রাম। ২ বিদেশিকেই এবার নিলাম থেকে দলে নিয়েছিল লখনউ। দুজনেই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন এদিন। মারক্রাম ১৩ বলে ১৫ রান করে ফিরলেও মার্শ ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। সঙ্গে দোসর হন নিকোলাস পুরাণ। ৪.৪ ওভারে দলের স্কোর যখন ৪৫ তখন মারক্রাম প্যাভিলিয়ন ফিরেছিলেন। এরপর পুরাণ ও মার্শ মিলে ঝড়ের গতিতে রান বোর্ডে তুলতে থাকেন। অজি অলরাউন্ডারকে ফেরান মুকেশ কুমার। তবে ততক্ষণে তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৬ বলে ৭২ রান। ৬টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। পন্থ ক্রিজে আসলেন। ২৭ কোটি টাকা খরচ করে তাঁকে দলে নিয়েছে এবার লখনউ। কেকেআরের ২৩.৭৫ কোটির বেঙ্কটেশের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৬ রান আরসিবি ম্য়াচে। এদিন পন্থের ব্যাট থেকে কোনও রানই এল না। মিলার এসে অবশ্য় পুরাণকে ভাল সঙ্গ দিলেন। পুরাণ ৩০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি ক্যারিবিয়ান তারকা। নীচের দিকে সেভাবে কেউ রান পাননি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
