IPL 2022: আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে ৫টি জয়, তালিকায় রয়েছে কোন কোন ম্যাচ?
IPL 2022: গত ১৫ বছরের আইপিএল (IPL) ইতিহাসে এমন অনেক ম্যাচ রয়েছে যেখানে পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করেও লক্ষ্যে পোঁছে গিয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল।
মুম্বই: আইপিএলের মঞ্চ মানেই ব্যাটে রানের ফুলঝুরি দেখতে পাওয়া যাবেই। গত ১৫ বছরের আইপিএল (IPL) ইতিহাসে এমন অনেক ম্যাচ রয়েছে যেখানে পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করেও লক্ষ্যে পোঁছে গিয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল। আবার অনেক ম্যাচ এমনও রয়েছে যেখানে একপেশে লড়াইয়ে বিশাল রানের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে এক দল। আজকের প্রতিবেদনে এমনই পাঁচটি ম্যাচ তুলে ধরা হচ্ছে যেখানে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল প্রথমে ব্যাট করা দল।
মুম্বই বনাম দিল্লি, ২০১৭ (জয়ের ব্যবধানে ১৪৬ রান)
সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২১৩ রান তুলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিন্ডলে সিমন্স ও কায়রন পোলার্ড ২ জনেই ৬০ এর বেশি রান করেন ব্যক্তিগতভাবে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। এটিই এখনো পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। মুম্বইয়ের হয়ে হরভজন সিংহ ও করণ শর্মা ২ জনেই ৩টি করে উইকেট নেন।
আরসিবি বনাম গুজরাট লায়ন্স, ২০১৬ (জয়ের ব্যবধান ১৪৪ রান)
২২ গজে সেদিন ব্য়াট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব করেছিলেন বিরাট কোহলি ও এবি ডিভিলিয়ার্স। ২ জনেই শতরান করে সেদিন। যার ফলে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২৪৮ রান তুলে নেয়। বিরাট সেই ম্যাচে ৫৫ বলে ১০৯ রান করেন। অন্যদিকে আরও ভয়ঙ্কর ছিলেন এবিডি। তিনি মাত্র ৫২ বলে ১২৯ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাত লায়ন্স মাত্র ১০৪ রানেই অল আউট হয়ে যায়। ১৪৪ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় আরসিবি।
কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম আরসিবি, ২০০৮ (জয়ের ব্যবধান ১৪০ রান)
আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ম্য়াচেই বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল কেকেআর। নাইটদের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ৭৩ বলে ১৫৮ রানের বিশাল ইনিংস খেলেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান বোর্ডে তুলেছিল কলকাতা। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে মাত্র ৮২ রানই তুলতে পারে আরসিবি। ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় সৌরভের দল।
আরসিবি বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (এখন পাঞ্জাব কিংস), ২০১৫ (জয়ের ব্যবধান ১৩৮ রান)
এই ম্যাচে ইউনিভার্সাল বস ক্রিস গেলের ব্যাট ঝলসে উঠেছিল। আরসিবির হয়ে ওপেনে নেমে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গেল। নিজের ইনিংসে ১২টি ছক্কা ও ৭টি বাউন্ডার হাঁকান তিনি। এবি ডিভিলিয়ার্স ২৪ বলে ৪৭ রান করেন। আরসিবি বোর্ডে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তুলে নিয়েছিল। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৩.৪ ওভারে ৮৮ রানে শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস।
আরসিবি বনাম পুণে ওয়ারিওয়ার্স, ২০১৩ (জয়ের ব্যবধান ১৩০ রান)
এই ম্যাচেও বিধ্বংসী ক্রিস গেলকে দেখা গিয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্য়তম সেরা একটি ইনিংস এদিন খেলেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ১৭টি ছক্কা ও ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৬ বলে ১৭৫ রান করেছিলেন সেদিন গেল। আরসিবি প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান বোর্ডে তুলে নেয়। প্রায় অসম্ভব রান তাড়া করতে নেমে পুণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানই বোর্ডে তুলতে সক্ষম হয়।