Dinesh Karthik Retirement: বিদায়বেলায় বিরাটকে আলিঙ্গন, চোখে জল নিয়েই মাঠ ছাড়লেন কার্তিক
IPL 2024: বিরাট, ফাফ, ম্য়াক্সওয়েল, সিরাজরা কার্তিককে গার্ড অফ অনার দেন। গ্লাভসজোড়া খুলে রেখে গ্যালারির দর্শকদের প্রতি হাত নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বেঙ্গালুরু: ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে হারের পর এবারের আইপিএলে অভিযান শেষ হয় আরসিবির। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই ২২ গজকে আলবিদা জানানোর কথা জানিয়ে দেন এই অভিজ্ঞ উইকেট কিপার ব্যাটার। বিরাট, ফাফ, ম্য়াক্সওয়েল, সিরাজরা কার্তিককে গার্ড অব অনার দেন। গ্লাভসজোড়া খুলে রেখে গ্যালারির দর্শকদের প্রতি হাত নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার। নিজে তিনি এই বিষয়ে মুখ না খুললেও ব্রডকাস্টারদের তরফেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয় কার্তিকের অবসরের বিষয়টি। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালেই আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল কার্তিকের।
চলতি মরশুমের শুরুতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এটাই তাঁর শেষ আইপিএল হতে চলেছে। কোহলি সহ আরসিবির সব ক্রিকেটারই গার্ড অব অনার দেন কার্তিককে। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ছিল খেলা। গোটা স্টেডিয়ামও তখন ডিকে ডিকে করে ওঠেন। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছেন খেলা শেষের পরই বিরাটের কার্তিককে জড়িয়ে ধরা। ২ জনেই দেশের জার্সিতে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন। এরপর ২০২২ সালে আইপিএলে আরসিবি শিবিরে কার্তিক যোগ দেওয়ার পর গত তিন বছর ধরে একসঙ্গে খেলে আসছেন। জাতীয় দলে আর কার্তিক হয়ত সুযোগ পাবেন না, আর গতকালের পর এটাও মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেল যে আর হয়ত মাঠে দেখা যাবে না কার্তিককে।
২০০৮ সাল থেকে আইপিএল খেলা দীনেশ কার্তিক মোট ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন। দিল্লি, মুম্বই, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, কেকেআর, গুজরাত লায়ন্স, আরসিবির হয়ে টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছেন। গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান বোর্ডে তুলে নেয়। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ম্য়াচ হারলেও ছেলেদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। তিনি ম্য়াচের পর বলেন, ''ছেলেদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। যা লড়াই করেছে। এর থেকে আর কীই বা বেশি চাওয়ার থাকতে পারে। এমনিতে পরিবেশ পরিস্থিতি দেখলে যে কেউই বলবে এটা ১৮০ রানের পিচ। কারণ পিচ বেশ মন্থর। তার ওপর বল শুরুর দিকে স্যুইং করছিল। তবে এবার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের জন্য দেখছি কোনও স্কোরই যথেষ্ট নয়। তার ওপর শিশির তো রয়েছেই। গোটা দলকে নিয়ে অবশ্য আমি গর্বিত। এক থেকে নয়ে নেমে এসেছিলাম আমরা। তারপর টানা ৬ ম্যাচ জিতে প্লে অফে জায়গা করে নেওয়া কম কথা নয়।''