IPL 2025: চ্যাম্পিয়নরা পারেননি, গত বারের রানার্স SRH কি RR-র বিপক্ষে জয় দিয়ে IPL অভিযান শুর করতে পারবে?
SRH vs RR: অতীতে দুই দলের ২০ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১১ বার জয় পেয়েছে আর রাজস্থান রয়্যালস জিতেছে নয়টি ম্যাচ।

হায়দরাবাদ: গত বারে নিজেদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)। দু'শো রানের গণ্ডি পার করাটা যেন ছেলেখেলার মতোই হয়ে উঠেছিল তাঁদের জন্য। গত বছর ফাইনালে উঠেও খেতাব হাতছাড়া হয়েছিল বটে, তবে অনেকের মতেই এই আইপিএল মরশুমে (IPL 2025) প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন সানরাইজার্স টুর্নামেন্টের সবথেকে বড় দাবিদারদের একজন। খেতাব জয়ের লক্ষ্যে নিঃসন্দেহেই শুরুটা ভালভাবে করতে আগ্রহী হবে নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এই পথে তাঁদের কাঁটা রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)।
রাজস্থান রয়্যালসের দিকে এবারের টুর্নামেন্টে সকলের বাড়তি নজর রয়েছে। কারণ দুইটি ডাগ আউটে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করা রাহুল দ্রাবিড়ের উপস্থিতি এবং নিলামের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে বিক্রি হওয়া বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে শুধু খেলাই নয়, সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেছেন বিহারের এই তরুণ ক্রিকেটার। আইপিএলে বিশ্ববন্দিত তারকাদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নেমে বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার বৈভব কেমন খেলেন, সেই দেখতে তাই সকলেই মুখিয়ে।
রাজস্থান অবশ্য টুর্নামেন্টের প্রথম তিনটি ম্যাচে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে পাবে না। স্যামসন সম্পূর্ণ ফিট নন। তাই তাঁকে কেবল ব্যাটার হিসাবে সম্ভবত ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসাবে দেখা যাবে। তিনি সম্পূর্ণ ফিট হলে আবার অধিনায়কও হবেন। তবে প্রথম তিন ম্যাচে স্যামসনের অনুপস্থিতিতেও কিন্তু তারুণ্যের ওপরেই আস্থা রাখা হয়েছে। প্রথমবার আইপিএলে অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে রিয়ান পরাগকে। সন্দীপ শর্মা, তুষার দেশপাণ্ডের পাশাপাশি জোফা আর্চার দলে থাকলেও তাঁর ফিটনেস ও ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে হাসারাঙ্গা ও থিকসানা, দুই লঙ্কানদের নিয়ে তৈরি রাজস্থানের স্পিন বিভাগ বেশ শক্তিশালী।
থিকসানারা নতুন বল হাতেও পটু। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী জুটিকে শুরুতেই থামাতে কিন্তু রাজস্থান নতুন বলেই স্পিনের দিকে তাকাতে পারে। দুই বাঁ-হাতি ওপেনারের পর এ মরশুমে সানরাইজার্স ঈশান কিষাণকে দলে নিয়েছে। এছাড়া হেনরিখ ক্লাসেন, নীতীশ রেড্ডি, অভিনব মনোহরদের নিয়ে তৈরি দলের মিডল অর্ডারেও কিন্তু বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ক্ষমতা রয়েছে। সানরাইজার্স ফাস্ট বোলিং বিভাগ অন্তত খাতায় কলমে ঈর্ষণীয়। মহম্মদ শামি ও কামিন্সের মতো দুই বিশ্ববন্দিত ফাস্ট বোলার রয়েছেন। বৈচিত্র যোগ করার জন্য রয়েছেন হর্ষল পটেল, জয়দেব উনাদকাট। স্পিনবিভাগে একটু হলেও উদ্বেগ আছে বৈকি। তবে জাম্পা নিজের আন্তর্জাতিক ফর্ম আইপিএলে দেখাতে পারলে সেই নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন পড়বে না।
সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পটভূমি তৈরি। দুই দলের মধ্যে পরিসংখ্যানের নিরিখে পার্থক্য করাও কঠিন। অতীতে ২০ ম্যাচে সানরাইজার্স ১১ বার জয় পেয়েছে আর রাজস্থান জিতেছে নয়টি ম্যাচ। তাই সবকিছুই কিন্তু এক রোমাঞ্চকর ম্যাচের দিকে ইঙ্গিত করছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
