IPL Auction: আইপিএল নিলামে কোনও খেলোয়াড়কে নিয়ে দর কষাকষিতে টাই হলে কী হবে?
IPL Auction: অতীতে রবীন্দ্র জাডেজা, কায়রন পোলার্ডদের ক্ষেত্রেও নিলামে টাই ব্রেকারের প্রয়োজন হয়েছিল।

নয়াদিল্লি: আর খানিকটা সময়ের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে আইপিএলের মিনি নিলাম (IPL Auction 2026)। আইপিএল নিলাম মানেই টান টান উত্তেজনা। প্রিয় দল কোন ক্রিকেটারকে দলে নিল, তা দেখার, জানার আগ্রহ। এ বছরে মোট ৩৬৯ খেলোয়াড়ের নাম আইপিএল নিলাম উঠতে চলেছে। চলবে দর কষাকষি। কিন্তু ধরুন এই দর কষাকষিতে টাই হয়ে গেল, তখন কী হবে?
অবিশ্বাস্য় লাগলেও অতীতে ২০১০ কায়রন পোলার্ড, শেন বন্ড এবং ২০১২ সালে রবীন্দ্র জাডেজার নিলামের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে টাই-ব্রেকের সিক্রেট বিডের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের বিক্রি করা হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মেও হালকা বদল ঘটেছে। এমন ঘটনা ঘটবে কি না সেটা পরের বিষয়। তবে ঘটলে কী হবে সেটা আগেভাগেই বিসিসিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধরা গেল দুই বা ততোধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি কোনও ক্রিকেটারের জন্য বিড করছে এবং তাদের একজনের টাকা শেষ হয়ে গেল। অপর অন্তত এক ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহী হলেও আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী দর হাঁকানোর জন্য জরুরি অর্থে তাদের কাছে নেই, তখন তাদের 'ম্যাচিং বিড' অর্থাৎ অপর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ক্রিকেটারটির জন্য যে দর হাঁকিয়েছিল, সেই দর হাঁকাতে তাঁরা আগ্রহী কি না, জিজ্ঞেস করা হয়। উত্তর হ্যাঁ হলে তখন বিড টাই হয়ে যায় এবং শুরু হয় টাই ব্রেকার।
এক্ষেত্রে খেলোয়াড়টি 'ফাইনাল বিড'-র দামেই বিক্রি হন। কিন্তু কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে পাবে, সেটার জন্য শুরু হয় আরেকটি দর হাঁকাহাঁকি। যে সকল ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়টির জন্য 'ফাইনাল বিড' হাঁকিয়েছিল, তাদেরকে চুপিচুপি বিসিসিআইয়ের দেওয়া খামে নতুন বিড লিখতে হবে। এই বিডে সর্বোচ্চ যে ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়টির জন্য দাম দেবে সেই তাঁক দলে পাবে। তবে এই টাকাটা কিন্তু সেই খেলোয়াড়টি পাবেন না।
বোঝানোর জন্য ধরা গেল একটি খেলোয়াড়ের জন্য এক কোটি টাকায় 'ফাইনাল বিড' হল, কিন্তু টাইব্রেকারে তাঁকে পাওয়া দল তাঁর জন্য সর্বোচ্চ চার কোটি টাকার দর হাঁকাল। তখন বাকি তিন কোটি টাকা যাবে বিসিসিআইয়ের খাতে। টাইব্রেকারের ক্ষেত্রেও টাই হয়ে গেলে পুনরায় একই প্রক্রিয়া চলবে থাকবে যতক্ষণ কোনও দল অপর দলের থেকে বেশি দর হাঁকায়। এক্ষেত্রে বর্ধিত টাকা বিসিসিআইকে দেওয়ার জন্য নিলামের দিন থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি এক মাসের মধ্যে দুইবারে দিতে হবে। এই টাইব্রেকার দরের পরিমাণ জানানো হবে না এবং এর কোনও নির্ধারিত সীমাও নেই। এই টাকা কিন্তু আইপিএল নিলামের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির নির্ধারিত পার্সের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই টাকা সেখান থেকে কাটা যাবে না বা যুক্তও হবে না।




















