Shreyas Iyer: শ্রেয়সকে সব ফর্ম্য়াটেই জাতীয় দলে ফেরানোর জন্য বোর্ডকে বার্তা মহারাজের
Sourav On Shreyas: এই মুহূর্তে শুধু ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে খেলা শ্রেয়সকে যেন ভারতীয় দলের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট স্কোয়াডেও রাখা হয়, সেই আর্জিই রেখেছেন প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি।

মুম্বই: গত বছরই তাঁকে বোর্ডের চুক্তির আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটকে উপেক্ষা করেছিলেন আইপিএলের জন্য, এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। একের পর এক ফর্ম্য়াটে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু এরপরই নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই শুরু করে দেন শ্রেয়স আইয়ার। যখনই সুযোগ পাচ্ছেন, জ্বলে উঠছেন। তিনি শ্রেয়স আইয়ার। গত আইপিএলে কেকেআরের অধিনায়ক ছিলেন। ব্যাট হাতে রান করেছেন। দলকেও চ্যাম্পিয়ন করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। এবারের আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের জার্সিতে প্রথম ম্য়াচেই মারকুটে অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংস খেলে প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন মুম্বইয়ের এই ডানহাতি ব্যাটার। এবার শ্রেয়সের হয়ে ব্যাট ধরলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিসিসিআইয়ের কাছে সৌরভ বার্তা রাখছেন যাতে শ্রেয়সকে দ্রুত জাতীয় দলের জার্সিতে সব ফর্ম্য়াটেই ফেরানো হয়। অর্থাৎ এই মুহূর্তে শুধু ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে খেলা শ্রেয়সকে যেন ভারতীয় দলের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট স্কোয়াডেও রাখা হয়, সেই আর্জিই রেখেছেন বোর্ডের কাছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের ব্যাটিং দেখার পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌরভ লেখেন, ''গত ১ বছরে শ্রেয়স নিজের ব্যাটিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে। ও এখন সব ফর্ম্য়াটে খেলার জন্যই তৈরি। কিছু পরিস্থিতির পর এভাবে শ্রেয়সের দারুণ প্রত্যাবর্তনের জন্য সত্যিই খুব খুশি আমি। ওকে দেখে এখন খুব ভাল লাগছে।'' সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে শ্রেয়স ও বিসিসিআইয়েক ট্যাগ করেছেন প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি। এর থেকেই বাঁহাতি প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার বোঝাতে চেয়েছেন যে বোর্ড যেন এবার শুধুমাত্র একটি ফর্ম্াটের জন্য নয়, শ্রেয়সকে সব ফর্ম্য়াটের জন্যই ভাবে।
গুজরাতের বিরুদ্ধে নিশ্চিত শতরান হাঁকানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু দলকে প্রাধান্য দিয়েছেন শ্রেয়স। তাই নিজের পার্টনার শশাঙ্ককে চালিয়ে খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যার জন্য অপরাজিত ৯৭ রানে খুশি থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় প্রাক্তন নাইট অধিনায়ককে। শশাঙ্কের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬ বলে অপরাজিত ৪৪ রান। শেষ পাঁচ ওভারে একশোর কাছাকাছি রান তুলেছিলেন দুই ব্যাটার। এমনকী শশাঙ্ক যকন উনিশতম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গলস নিলেন, তখন শ্রেয়স ৯৭ রানে ব্যাট করছিলেন। কুড়ি তম ওভারে প্রতিটা বলেই বাউন্ডারি হওয়ায় কোনওভাবেই শশাঙ্ক শ্রেয়সকে শতরান করার সুযোগ দিতে পারেননি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
