Kohli-Kumble Conflict: কোচ কুম্বলেকে ভয় পাচ্ছে তরুণরা, বোর্ডকে জানিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি?
BCCI: অনিল কুম্বলে ব্যস্ত স্ট্র্যাটেজি সাজাতে। পাঞ্জাব কিংস দলের কোচ তিনি। বিরাট কোহলি ব্যস্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে। তারই ফাঁকে বোমা ফাটালেন বিনোদ রাই।
মুম্বই: আইপিএল (IPL) চলছে পুরোদমে। অনিল কুম্বলে (Anil Kumble) ব্যস্ত স্ট্র্যাটেজি সাজাতে। পাঞ্জাব কিংস দলের কোচ তিনি। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্যস্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে। তারই ফাঁকে বোমা ফাটালেন বিনোদ রাই।
কে এই বিনোদ রাই? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন কর্তা।
৫ বছর আগে ভারতীয় ক্রিকেট একেবারে উত্তাল হয়েছিল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ অনিল কুম্বলের মধ্যে বিবাদের জেরে। বিষয়টি এমনই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, কুম্বলেকে তাঁর পদ ছাড়তে হয়েছিল। এ বার এই বিতর্কের প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন বিনোদ রাই। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট রাইকে প্রশাসকদের কমিটির (সিওএ) প্রধান করে। এবং তিনি প্রায় তিন বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেট চালান।
বিনোদ রাই তাঁর বই 'নট জাস্ট আ নাইটওয়াচম্যান: মাই ইনিংস ইন দ্য বিসিসিআই'-এ বিরাট কোহলি এবং অনিল কুম্বলের সম্পর্কে যে ঝামেলো, টানাপোড়েন- সবটাই তুলে ধরেছেন। প্রাক্তন আইএএস অফিসার দাবি করেছেন যে, ক্রিকেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কমিটিও অধিনায়ক-কোচ সম্পর্কের মধ্যে এই ফাটলে সমস্যায় পড়েছিল।
কোচ কুম্বলেকে ভয়?
প্রাক্তন সিওএ বিনোদ রাই তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার কথোপকথনে জানতে পারি, কুম্বলে শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে খুব কঠোর ছিলেন। তাই দলের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে খুব খুশি ছিলেন না। আমি এই ইস্যুতে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং তিনি বলেছিলেন যে, কোচ কুম্বলে যে ভাবে কাজ করেছিলেন, তাতে দলের তরুণ সদস্যরা খুব ভয় পেয়েছিলেন।' রাই আরও লিখেছেন, 'অন্যদিকে, কুম্বলে, সিওএ-কে বলেছিলেন, তিনি দলের স্বার্থকে শীর্ষে রেখে কাজ করেছেন এবং প্রধান কোচ হিসাবে তাঁর সফল রেকর্ডকে খেলোয়াড়দের কথিত অভিযোগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’
আর কী রয়েছে বইয়ে?
প্রাক্তন সিওএ তাঁর বইতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে কুম্বলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ কথোপকথনের উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘কুম্বলের ব্রিটেন থেকে ফেরার পর, ক্রিকেট প্রশাসকদের কমিটি তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ কথাবার্তা বলেছিল। এই পুরো বিষয়টি যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তাঁর ওপর বিরক্ত ছিলেন কুম্বলে। তিনি অনুভব করেছিলেন যে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে এবং একজন অধিনায়ক বা দলকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। দলে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব আনা কোচের দায়িত্ব ছিল এবং সিনিয়র খেলোয়াড় হওয়ার কারণে তাঁদের চিন্তাভাবনা ও ধারণাকে সম্মান করা উচিত ছিল।’
বইটিতে দাবি করা হয়েছে যে তৎকালীন সিইও রাহুল জোহরি এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরীও কোহলি-কুম্বলেকে নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। উভয়েই মনে করেছিলেন যে পার্থক্যগুলি গুরুতর এবং ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি বিতর্কের বিষয়ে কুম্বলে এবং বিরাটের সঙ্গে কথা বলার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এর পরে, লন্ডনে কুম্বলে এবং কোহলির সঙ্গে সিএসি আলাদা আলোচনা করেছিল। ৩ দিন ধরে চলা আলোচনার পরে, তাঁরা কুম্বলেকে প্রধান কোচ হিসাবে পুনরায় নিয়োগের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও কুম্বলে নিজেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিতর্কে জল ঢালেন।