Ishan Porel Exclusive: বাউন্সার নয়, ঠিক করেছিলাম স্যুইংয়ে কাবু করব, রুদ্ধশ্বাস ওভারের গল্প শোনালেন ঈশান
Ranji Trophy Exclusive: জগজিৎ সিংহকে ফিরিয়ে বাংলার শিবিরে যেন প্রাণবায়ু জোগালেন তিনি। ঈশান পোড়েল (Ishan Porel)। চণ্ডীগড়কে ১৫২ রানে হারিয়ে পুরো ৬ পয়েন্ট পেল বাংলা।
কলকাতা: তাঁর হাতে যখন বল তুলে দেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran), ম্যাচের আর মাত্র দু'ওভার বাকি। ক্রিজে রয়েছেন সেট হয়ে যাওয়া যশকরণ সিংহ। সঙ্গী জগজিৎ সিংহ। জগজিৎ তার আগের ১৪ বলস কোনও মতে ঠেকিয়ে রেখেছেন। আর ১২ বল কোনও মতে কাটিয়ে দিতে পারলেই যেন নৈতিক জয় হবে চণ্ডীগড়েরই। বাংলার সরাসরি জয়ের স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটানো যাবে।
কিন্তু চণ্ডীগড়ের সেই প্রতিরোধ ভেঙে গেল ওভারের দ্বিতীয় বলেই। জগজিৎ সিংহকে ফিরিয়ে বাংলার শিবিরে যেন প্রাণবায়ু জোগালেন তিনি। ঈশান পোড়েল (Ishan Porel)। চণ্ডীগড়কে ১৫২ রানে হারিয়ে পুরো ৬ পয়েন্ট পেল বাংলা। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) হয়ে গেল জয়ের হ্যাটট্রিকও।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই কলকাতায় ফেরার তাড়া। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলে কটক থেকে রাতেই শহরে ফিরছে বাংলা দল। বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে ঈশান বললেন, 'ওটাই ছিল ম্যাচে আমার শেষ ওভার। তারপর আর এক ওভার বাকি ছিল। কী হবে ভাবছিলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। পুরো অন্ধকারে ছিলাম। খালি মনে হচ্ছিল, এত দূর এসে জিততে পারব না!' ঈশান যোগ করলেন, 'প্রথম বলটা করার পর স্বাভাবিক হই। প্রথম বলে ব্যাটার পরাস্ত হয়। মনে হচ্ছিল, আমার হাতে আর পাঁচটা বল রয়েছে। টেল এন্ডারকে আউট কীভাবে করব। রান আপে যেতে যেতে ভাবি, বাউন্সারে হয়তো অস্বস্তিতে পড়বে। কিন্তু আউট নাও হতে পারে। তার চেয়ে ওপরে রাখলে স্যুইং হবে। ব্যাটের কানায় লাগার সম্ভাবনা থাকবে। তাই হল। রুকুদার (অনুষ্টুপ মজুমদার) হাতে লেগে বলটা পপ আপ হল। ভাই (উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল) ক্যাচ ধরল।'
পরপর তিনটে ম্যাচ জয়। খুশি ঈশান। বলছেন, 'গোটা দেশের কাছে বার্তা গেল। এবছরের রঞ্জিতে সেরা পারফরম্যান্স বাংলারই। শেষবার রঞ্জিতে ফাইনাল খেলেছিলাম। সেবার যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখানেই শুরু করলাম।'
চাপ সামলে জয়ের নেপথ্যে কী? ঈশান বলছেন, 'ছেলেদের চারিত্রিক দৃঢ়তা। বেশ গরম ছিল। কঠিন পরিস্থিতি। শেষ দিন ওদের ৮টা উইকেট তোলা বাকি ছিল। মন্থর ব্যাটিং করছিল চণ্ডীগড়। তাতে আমাদের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে সকলে মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে ম্যাচ বার করেছি। এই দলগত সংহতিই আমাদের সম্বল।'
রঞ্জিতে পরপর তিন ম্যাচ জয়ের পথে অবদান রেখেছেন দলের প্রায় সকলেই। 'চারদিনের ম্য়াচ এতদিন পরে খেলাটা সহজ নয়। তবে সবাই পারফর্ম করছে। ভাল দলের এটাই হওয়া উচিত যে, সকলে মিলে পারফর্ম করবে,' বলছিলেন চন্দননগরের পেসার। যোগ করলেন, 'নক আউট পর্বের আগে কিছুদিনের বিরতি রয়েছে। তবে তাতে সমস্যা হবে না। নক আউটে একইরকম ছন্দ বজায় থাকবে।'