(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
East Bengal: ফের এগিয়ে গিয়েও হার, আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে থাকাই অনিশ্চিত
ISL: শুক্রবার ২-১-এ জিতে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ের মধ্যে থেকে লিগ শেষ করার স্বপ্ন কার্যত ভেঙে চুরমার করে দিল তাদের প্রতিবেশী রাজ্যের দল।
কলকাতা: ফের এগিয়ে গিয়েও হারতে হল ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে (East Bengal FC)। এ বার তারা হারল জামশেদপুর এফসি-র কাছে (Jamshedpur FC)। গত দশটি ম্যাচে যারা জয়ের মুখ দেখতে পায়নি, তারা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে অবশেষে জয়ে ফিরল। শুক্রবার ২-১-এ জিতে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ের মধ্যে থেকে লিগ শেষ করার স্বপ্ন কার্যত ভেঙে চুরমার করে দিল তাদের প্রতিবেশী রাজ্যের দল।
এ দিন ১২ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ক্লেটন সিলভার গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ বাহিনী। এই নিয়ে লিগে নবম গোল করলেন ক্লেটন। কিন্তু এই গোলের সুফল পাননি ট্র্যাজিক হিরো ক্লেটন। দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রেলীয় ফরওয়ার্ড হ্যারি সয়্যার ও বঙ্গ ফরোয়ার্ড ঋত্বিক দাসের গোলে লিগের দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নেয় জামশেদপুর এফসি। জেতার জায়গায় থেকেও পয়েন্ট খোয়াল ইস্টবেঙ্গল এফসি।
শুরুর দিকে ভাল খেললেও এ দিন কলকাতার দল দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমতো ধুঁকতে শুরু করে এবং তাদের রক্ষণের বিশাল ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় জামশেদপুর, যারা প্রথম লিগে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ১-৩-এ হেরেছিল। এই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে থেকে লিগ শেষ করার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল। লিগ টেবলের দশ নম্বরে থাকা জামশেদপুরের কাছে হারার পরে এ বার পরবর্তী দুই ম্যাচে লাল-হলুদ বাহিনীকে খেলতে হবে হায়দরাবাদ এফসি ও এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে এই দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কতটা সম্ভব হবে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এ দিন দলে দুটি পরিবর্তন করে প্রথম এগারো তৈরি করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন। জেরির জায়গায় সার্থক গলুই ও জর্ডন ও’ডোহার্টির জায়গায় চ্যারিস কিরিয়াকুকে রেখে ৪-৪-২-এ দল সাজান তিনি। শুরু থেকে জামশেদপুর এফসি প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেও ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল এফসি শুরুতেই গোলটি তুলে নেয় ১২ মিনিটের মাথায়।
প্রথম ৪৫ মিনিটে বল পজেশন দুই দলেরই সমান থাকলেও গোলে শট নেওয়ার দিক থেকে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গলই। তারা তিনটি শট গোলে রাখলেও জামশেদপুর একটিও তিনকাঠিতে রাখতে পারেনি। আগ্রাসনের দিক থেকেও লাল-হলুদ বাহিনীই এগিয়ে ছিল।
এই পরিবর্তনই কাজে আসে ইস্পাতনগরীর দলের। সুপারসাব হিসেবে পন্ডিতা সুনাম অর্জন করলেও এই ম্যাচে সেই তকমা নিয়ে নেন হ্যারি সয়্যার। ৬১ মিনিটের মাথায় তাঁর গোলেই সমতা এনে ফেলে জামশেদপুর। এগিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধের ব্যর্থতায় গোল খাওয়ার জন্য কুখ্যাত ইসস্টবেঙ্গল এ দিনও তাদের সেই দুর্নাম বজায় রাখে। তাদের বক্সের মধ্যে তৈরি হওয়া জটলার মধ্যে থেকে বল গোলে ঠেলে দেন অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড (১-১)। তাঁকে আটকানোর মতো কেউই ছিলেন না।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ন’মিনিট আগে সেম্বয় হাওকিপ ও জর্ডন ও’ডোহার্টি নামেন যথাক্রমে সুহের ও লিমার জায়গায়। উদ্দেশ্য অবশ্যই জয়সূচক গোল তুলে নেওয়া। কিন্তু গোল পাওয়া দূরে থাক, উল্টে গোল খেয়ে যায় তারা। ৮৫ মিনিটের মাথায় জামশেদপুরের জয়সূচক গোলটি করে ফেলেন ঋত্বিক দাস।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: দ্রাবিড়-রহস্য! শেষ ম্যাচে রোহিতদের ড্রেসিংরুমে দেখা যাবে হেডস্যারকে?