Paris Saint-Germain: এমবাপের গোল, নেমারের লাল কার্ড, টিভিতেই প্যারিস সঁ জরমেঁর ম্যাচ উপভোগ করলেন মেসি
Ligue 1: এই জয়ের ফলে লিগ ওয়ানের শীর্ষে নিজেদের দখল মজবুত করল প্যারিস সঁ জরমঁ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে এমবাপেরা আট পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন।
প্যারিস: বিশ্বকাপের পর নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয় পেল প্যারিস সঁ জরমঁ (Paris Saint-Germain)। বিশ্বকাপে অনবদ্য হ্যাটট্রিক করেও পরাজিত হতে হয়েছিল কিলিয়ান এমবাপেকে (Kylian Mbappe)। তবে তিনিই ৯৬ মিনিটের গোলে পিএসজিকে জয় এনে দিলেন। ঘটনাবহুল ম্যাচে লাল কার্ড দেখলেন নেমার (Neymar) । বিশ্বজয়ী লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এখনও পিএসজির হয়ে অনুশীলনে ফেরেননি। তবে তিনি ঘরে বসেই দলের ম্যাচ টিভিতে উপভোগ করলেন।
স্ট্রাসবুর্গের বিরুদ্ধে ১৪ মিনিটে অধিনায়ক মার্কুইনস দুরন্ত হেডে প্যারিস সঁ জরমঁকে ম্যাচে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ছয় মিনিট পরেই ম্যাচে সমতায় ফেরে স্ট্রাসবুর্গ। মার্কুইনস ফের একবার জালে বল জড়ান, তবে এবার আত্মঘাতী গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচে নেমার ৬১ মিনিটে অ্যাড্রিয়ান থমাসনের মুখে হাত দিয়ে আঘাত করায় প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন।
নেমারের লাল কার্ড
ঠিক তার মিনিট খানেক পরেই স্ট্রাসবুর্গের পেনাল্টি বক্সে পেনাল্টি আদায়ের লক্ষ্যে কোনও খেলোয়াড় তাঁকে ফাউল না করলেও পড়ে যান নেমার। অযাচিতভাবে ডাইভ মেরে পেনাল্টি আদায়ের চেষ্টা করায় রেফারি তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখান। এমবাপে এদিনও বিশ্বকাপ ফাইনালের মতোই দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। তবে বিপক্ষ গোলকিপারের সুবাদে দুইবার গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েও তিনি বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। অবশ্য শেষ হাসিটা কিন্তু এমবাপেই হাসেন। তাঁর দুরন্ত গতি সামলাতে হিমশিম খেয়ে স্ট্রাসবুর্গের ডিফেন্ডার তাঁকে পেনাল্টি বক্সে ফাউল করে বসেন। নেমার, মেসি কেউই মাঠে না থাকায় এমবাপেই পেনাল্টি নেন এবং মাথা ঠান্ডা রেখে ৯৬ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোলটিও করেন।
ফাইনালের ক্ষত
এই জয়ের ফলে লিগ ওয়ানের শীর্ষে নিজেদের দখল মজবুত করল প্যারিস সঁ জরমঁ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে এমবাপেরা আট পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। ম্যাচ শেষে জয়সূচক গোল করার পরেও এমবাপেকে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে এমবাপে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'আমার মনে হয় ওই হারটা আমি কোনওদিনও ভুলতে পারব না। তবে আমি সতীর্থদের সকলেই এই কথাটা বলেছি এবং আবারও বলছি। কোনওভাবেই ক্লাবকে জাতীয় দলের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হবে না। দুইটো বিষয় একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।'
আরও পড়ুন: মিউজিয়াম হিসেবে তৈরি হচ্ছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে মেসিদের থাকার ঘর