Mary Kom Birthday: ক্লাস সেভেনে স্কুলছুট, পরে তিনিই বিশ্বজয়ী, জন্মদিনে মেরি কমের অজানা গল্প
Mary Kom: তিনি দেশের সোনার মেয়ে। ছ'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। মেরি কম (Mary Kom)। শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর তাঁর জন্মদিন। ৪১ বছর পূর্ণ করলেন মণিপুরের (Manipur) বক্সার।
ইম্ফল: তিনি দেশের সোনার মেয়ে। ছ'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। মেরি কম (Mary Kom)। শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর তাঁর জন্মদিন। ৪১ বছর পূর্ণ করলেন মণিপুরের (Manipur) বক্সার। আর বিশেষ এই দিনে জেনে নেওয়া যাক মেরি কমের জীবনের অজানা কিছু গল্প।
স্কুলছুট
পড়াশোনায় কখনওই আগ্রহী ছিলেন না মেরি। বক্সিংই ছিল ধ্যানজ্ঞান। এবং সেটা বেশ ছোট বয়স থেকেই। তখন সেন্ট জ়েভিয়ার্স স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন মেরি। আচমকা পড়াশোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্কুল ছেড়ে দেন মেরি। তারপর অবশ্য ফের পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। প্রাইভেটে তিনি পড়াশোনা চালিয়েছিলেন। ফাইনাল পরীক্ষাও দেন প্রাইভেটে। পরে প্রাইভেটেই চুড়াচাদপুর কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন।
কলেজের পরে বক্সিং
ছোট থেকেই বক্সিং পছন্দ করেন। কিন্তু স্কুল জীবনে পেশাদার বক্সার হওয়ার মঞ্চ পাননি। কেরিয়ার হিসাবে বক্সিংয়ে বেছে নেওয়া বেশ পরে। তখন তিনি স্নাতক হয়ে গিয়েছেন। মেরির আদর্শ ছিলেন ডিঙ্কো সিংহ। এশিয়ান গেমসে ডিঙ্কো সোনা জেতার পরই মেরি সিদ্ধান্ত নেন, পেশাদার বক্সার হবেন। ডিঙ্কোর সোনা জয় মেরির জীবন পাল্টে দিয়ে গিয়েছিল। পরে একাধিক সাক্ষাৎকারে সেই কথা স্বীকারও করে নেন মেরি।
নিজের অ্যাকাডেমি
অনেকেই জানেন না যে, শুধু নিজের সাফল্যে দেশকে একের পর এক গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েই ক্ষান্ত হননি মেরি কম। তিনি ব্রতী হয়েছেন দেশকে আরও বক্সার উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েও। সেই কারণে নিজ রাজ্যে, মণিপুরে একটি অ্যাকাডেমি খুলেছেন মেরি কম। সেখানে উদীয়মান, প্রতিভাবান বক্সারদের নিজে প্রশিক্ষণ দেন মেরি। রয়েছে উন্নত পরিকাঠামো। ২০০৭ সাল থেকে অগুনতি গরীব মেয়েদের নিখরচায় প্রশিক্ষণ দেন মেরি। দারিদ্র যাতে কারও স্বপ্নপূরণের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মেরি কম।
পশুপ্রেমী
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বক্সার। প্রতিপক্ষকে রিংয়ে নক আউট করে দেন। সেই মেরি কম কিন্তু রিংয়ের বাইরে ভীষণ উদার, অনুভূতিপ্রবণ মানুষ। মেরি কম পশুপ্রেমী। পশুরক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রচারমূলক অভিযানে সামনের সারিতে থাকেন। বিনোদন বা অন্য কোনও কারণে পশুদের ক্ষতি হতে দেখলেই গর্জে ওঠেন।
রানির ব্যাটন হাতে
কেরিয়ারে প্রচুর পদক জিতেছেন। বিভিন্ন সম্মান ও স্বীকৃতিও পেয়েছেন। তবে মেরি নিজে খুব গর্ব অনুভব করেন রানির ব্যাটন হাতে তুলতে পেরেছিলেন বলে। ২০১০ সালে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসের সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুইন্স ব্যাটন বহন করেছিলেন মেরি।
আরও পড়ুন: সূ্র্য, ঈশানের অর্ধশতরান, রিঙ্কুর ব্যাটে শেষ বলে নাটকীয় জয় ভারতের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।