Wrestler Protest: ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার মত পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই, বলছে দিল্লি পুলিশের সূত্র
Brij Bhushan Update: ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ভারতের শীর্ষ কুস্তিগিররা তাঁর অপসারণের দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন।
নয়াদিল্লি: গত কয়েক মাস ধরে ভারতীয় কুস্তি জগতে সবচেয়ে আলোচিত নাম তিনি। তিনি সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহ। সাত মহিলা কুস্তিগীর তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। যা নিয়ে রীতিমত প্রতিবাদে রাস্তাতেও নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাত, বজরং পুনিয়ার মত কুস্তিগীররা। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিদিন সোচ্চার হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল যে প্রমাণ না থাকায় ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। এমনকী দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্টও পেশ করা হবে।
দিল্লি পুুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ''তদন্ত চলছে। কিন্তু এরমধ্যেই ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ উঠেছে, তার কোনও সঠিক নথি বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্য়ে একটি রিপোর্টও পেশ করা হবে।''
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে গঙ্গায় পদক-বিসর্জনের ভাবনা থেকে সরে এলেও এবার তাঁরা দাবি আদায়ের জন্য বেঁধে দিলেন চরম সময়সীমা। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচ দিন সময় দিয়েছেন কুস্তিগিররা। সাক্ষী, বজরংদের বক্তব্য, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। সেই সময়সীমার মধ্যেও সরকারের তরফে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাববেন বলেই জানিয়েছেন। এদিন বিকেলে পদক গঙ্গায় বিসর্জনের জন্য হরিদ্বারের হরি কি পৌরিতে জড়ো হয়েছিলেন কুস্তিগিররা। কিন্তু দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁদের ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে সম্মানিত করার স্মারক তথা পদক তাঁরা যেন এভাবে বিসর্জন না দেন, সেটা বোঝাতে সেখানে হাজির হন কৃষকনেতা নরেশ তিকায়েত। বোঝাতে গিয়ে বারবার বেগ পেতে হলেও শেষপর্যন্ত কুস্তিগিরদের বুঝিয়ে পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া থেকে তাঁদের বিরত করতে সক্ষম হন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ভারতের শীর্ষ কুস্তিগিররা তাঁর অপসারণের দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন। রাজধানীতে দীর্ঘ ধর্নার পরে কিছুদিন আগে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন তাঁদের আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিল্লির যন্তরমন্তর চত্বর। বিনেশ ফোগত, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক-সহ ৩ কুস্তিগির এবং ১০৯ জন আন্দোলনকারীদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। পরে মহিলাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক পদকজয়ী কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, পুলিশকে নিগ্রহ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। খালি করে দেওয়া হয় যন্তর মন্তর চত্বর। যদিও কুস্তিগিররা মোটেই দমছেন না। তাঁরা নিজেদের দাবিতে অবস্থান, আন্দোলনে অনড়।