Novak Djokovic: 'আমায় বিষ দেওয়া হয়েছিল', অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর আগে ২০২২ সালের ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক জকোভিচ
Australia open: নোভাক জকোভিচ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে অজ়িভূমে পৌঁছলেও, তাঁর করোনা টিকা না থাকায় তাঁকে দেশে ফেরত পাঠায় অস্ট্রেলিয়ান সরকার।
নয়াদিল্লি: ওপেন যুগে সর্বাধিক সিঙ্গেলস গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী তারকার নাম নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। হেন কোনও টুর্নামেন্ট নেই তিনি জেতেননি। তবে সার্বিয়ান তারকা কিন্তু বারংবার বিতর্ক থেকেও নিজেকে সরিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর কেরিয়ারের সবথেকে বড় বিতর্কগুলির মধ্যে সম্ভবত একেবারে শীর্ষে থাকবে ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের (Australia open) কাণ্ড।
তৎকালীন বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ সিঙ্গেলস টেনিস তারকা জকোভিচ করোনার টিকা না নেওয়ার পক্ষেই ছিলেন। বারংবার তাঁকে বলা সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্ত অনড় সার্বিয়ান বছরের প্রথম স্ল্যাম খেলতে অজ়িভূমে পদার্পন করেন। তবে চূড়ান্ত নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কড়া নিয়মের জেরে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ১২ জানুয়ারি থেকে ফের এক অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হতে চলেছে। আর সেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই 'জোকার'-র মন্তব্যে ফের শোরগোল।
জকোভিচের দাবি অনুযায়ী তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে বিষাক্ত কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছিল। সার্বিয়ান কিংবদন্তি বলেন, 'আমার কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। মেলবোর্নের হোটেলেই আমি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। আমায় বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। সার্বিয়ায় ফেরত আসার পর আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম। এর আগে আমি এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলিনি। তবে পরীক্ষা করে দেখা যায় আমার শরীরে মাত্রাতিরিক্ত সিসা ও পারদ পাওয়া যায়।'
করোনাকালে অজ়ি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী অজ়িভূমে প্রবেশের জন্য আগত সকল ব্যক্তিদের করোনা টিকা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। তবে জকোভিচের টিকা ছিল না। তিনি অজ়িভূমে নামার পরেই বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করা হয়। সার্বিয়ান তারকা আইনের দ্বারস্থও হন বটে, তবে তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সেই বছর তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হলেও, পরের বছর কোর্টে নামার সুযোগ পেয়েই নিজের দক্ষতা আবারও প্রমাণ করে দেন জকোভিচ। রড লেভার এরিনায় দশমবার খেতাব হাতে উঠে তাঁর।
এবার ফের একবার নতুন বছরে তাঁর ঐতিহাসিক কেরিয়ারে আরও এক ইতিহাস তৈরির লক্ষ্যে কোর্টে নামবেন জকোভিচ। মেলবোর্নে রেকর্ড ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের হাতছানি তাঁর সামনে। ১১তম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেই তিনি মার্গারেট কোর্টকে পিছনে ফেলে সর্বাধিক সিঙ্গেলস স্ল্যামজয়ী টেনিস তারকা হওয়ার কৃতিত্ব নিজের নামে করে ফেলবেন। সেই লক্ষ্যে ৩৭ বছর বয়সি তারকা সফল হন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: আর্জেন্তাইন সাংবাদিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মেসি! মুখ খুললেন মার্তিনেজ়