Eden Gardens Exclusive: ডেথ ওভারেই তো ম্যাচ ঘোরে, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ছিনিয়ে এনে উচ্ছ্বসিত সিএবি প্রেসিডেন্ট
Eden Gardens: দীর্ঘ ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। ১৯৯৬ সালের পর ফের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) সেমিফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ইডেন গার্ডেন্স।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: দীর্ঘ ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। ১৯৯৬ সালের পর ফের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) সেমিফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens)। 'প্রতিপক্ষ' চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর কার্যত মুঠো থেকে ছিনিয়ে এনেছে। সঙ্গে আরও চার ম্যাচ। যার মধ্যে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (Ind vs SA) হাইভোল্টেজ ম্যাচ।
স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। বলছিলেন, '১৯৯৬ সালের পর ফের সেমিফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করবে ইডেন। অনেক জল্পনা চলছিল, ইডেন কী ম্যাচ পাবে তা নিয়ে। আমি নীরব ছিলাম কারণ জানতাম, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ৪ মাস ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। বোর্ড সচিব জয় শাহর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছি। স্টেডিয়ামের যাবতীয় সংস্কারের নকশা নিয়ে গিয়েছিলাম ওঁর কাছে। প্রেস বক্স থেকে শুরু করে কর্পোরেট বক্স, কনফারেন্স রুম, সব কিছুরই আমূল বদল দেখিয়েছিলাম। মহিলাদের আইপিএল ফাইনাল দেখতে গিয়েও কথা বলেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম, অন্তত একটা সেমিফাইনাল পেতে। অনেকে বলছিলেন, বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ে হবে সেমিফাইনাল। আমরা জানতাম, কিছুই নিশ্চিত নয়। তবে বোর্ড থেকে সমর্থন পেয়েছি।'
স্নেহাশিস যোগ করলেন, 'আইপিএলেও ওয়াংখেড়ের সঙ্গে যুগ্মভাবে সেরা মাঠ হয়েছে ইডেন। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ইডেনে। পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ রয়েছে এবার। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ রয়েছে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কর্পোরেট বক্সের সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে।'
কিন্তু চেন্নাই বা বেঙ্গালুরুর হাত থেকে সেমিফাইনাল ছিনিয়ে আনলেন, স্লগ ওভারে ম্যাচ ঘুরল কীভাবে? এবিপি লাইভের প্রশ্নে স্নেহাশিস ইঙ্গিতপূর্ণভাবে হেসে বললেন, 'সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শেষ ওভারে কী হবে, কেউ জানে না। ৪০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের রাশ হাতে রেখেও ৫ ওভারে ম্যাচ ঘুরে যায়।' যোগ করলেন, 'জয় শাহকে বোঝাতে চেয়েছিলাম, ইডেনকে কীভাবে ঢেলে সাজাচ্ছি। গোটা সংস্কারকার্যের নকশা নিয়ে গিয়েছিলাম। কবে কাজ শেষ হয়ে যাবে, সেটাও দেখিয়েছিলাম। ১৬টা কর্পোরেট বক্স হচ্ছে। ঝকঝকে প্রেস বক্স, কনফারেন্স রুম, ড্রেসিংরুম। সব দেখে জয় শাহও খুশি।'
কিন্তু উৎসবের মধ্যে ম্যাচ, বিশেষ করে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড হাইভোল্টেজ ম্যাচ কালীপুজোর দিন, চ্যালেঞ্জিং হবে না? স্নেহাশিস বলছেন, 'চ্যালেঞ্জ তো নিয়েই ফেলেছি। এর আগে গঙ্গাসাগর মেলার সময় ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ করেছিলাম। কলকাতা পুলিশ সহযোগিতা করেছিল। গঙ্গাসাগরের সময় ২ লক্ষ-আড়াই লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। তার মধ্যেই ৬৫ হাজারের গ্যালারি ভরে গিয়েছিল। এবারও আত্মবিশ্বাসী আমরা।'
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: উদ্যোগী দাদা স্নেহাশিস, বিশ্বকাপে বড় দায়িত্ব পেতে পারেন সৌরভ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন