Tokyo Olympics 2020: মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন পদকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কমলপ্রীত
যোগ্য়তা অর্জন পর্ব থেকে মাত্র দু'জন সরাসরি ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় অ্যাথলিট কমলপ্রীত।
টোকিও: করোনাকালে ঘরবন্দি থাকতে থাকতে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন তিনি। এমনকী, প্রিয় ডিসকাস ছেড়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। মানসিক উদ্বেগ কমাতে।
যদিও কমলপ্রীত কৌরের ডিসকাস প্রেমে ঘাটতি পড়েনি। বরং তা উত্তরোত্তর বেড়েছে। সেই কমলপ্রীতই টোকিও অলিম্পিক্সে চমক দিয়েছেন। ডিসকাস থ্রোয়ের ফাইনালে উঠে। যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে ৬৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে কমলপ্রীতের থ্রো। গতবারের সোনাজয়ী ক্রোয়েশিয়ার সান্দ্রা পার্কোভিচ (৬৩.৭৫ মিটার) ও বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, কিউবার ইয়ামি পেরেজ় (৬৩.১৮ মিটার)-কেও পিছনে ফেলেছেন ২৫ বছরের কমলপ্রীত। যোগ্য়তা অর্জন পর্ব থেকে মাত্র দু'জন সরাসরি ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় অ্যাথলিট কমলপ্রীত।
পঞ্জাবের কবরওয়ালা গ্রামের কৃষক পরিবারে জন্ম কমলপ্রীতের। গত বছরের শেষ দিকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন। অতিমারির কারণে একের পর এক প্রতিযোগিতা বাতিল হচ্ছিল। অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও পারছিলেন না। আর অবসাদ গ্রাস করছিল তাঁকে। সেই থেকেই গ্রামে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।
কমলপ্রীতের শৈশবের কোচ রাখী ত্যাগী বলেছেন, 'ওর গ্রামের কাছে বাদলে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই)-এর একটা কেন্দ্র আছে। ২০১৪ সাল থেকে সেখানেই প্র্যাক্টিস করত। কিন্তু লকডাউনে সব বন্ধ ছিল। কমলপ্রীতও কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছিল না। অবসাদের শিকার হয়। তারপরই ক্রিকেট খেলা শুরু করে। তবে পেশা হিসাবে ক্রিকেটকে বেছে নেওয়ার জন্য নয়। এমনিই গ্রামের মাঠে খেলতে শুরু করে।'
সেই সময় নষ্ট হওয়ার আক্ষেপই যেন এ বছর পুষিয়ে নিচ্ছেন কমলপ্রীত। মার্চ মাসে ফেডারেশন কাপে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে ৬৫.০৬ মিটার ডিসকাস ছোড়েন তিনি। সেই প্রথম ভারতের কেউ ৬৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন ডিসকাসে।
শনিবার অলিম্পিক্সে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল ভারতীয় মহিলা হকি দল। গ্রুপ লিগের খেলায় দুরন্ত পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেলেন মহিলারা। ৪-৩ গোলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার আশা কিছুটা হলেও জিইয়ে রাখলেন তাঁরা।