Tokyo Olympics 2020: প্রথমবার অলিম্পিক্সে নেমেই বক্সিং কোয়ার্টার ফাইনালে পূজা রানি
৩০ বছর বয়সী পূজা রানি বয়সে তাঁর চেয়ে ১০ বছরের ছোট প্রতিপক্ষকে কার্যত দাঁড়াতেই দেননি।
টোকিও: কেরিয়ারের প্রথম অলিম্পিক্সে নেমেই চমক দিচ্ছেন ভারতের মহিলা বক্সার পূজা রানি। মহিলাদের মিডলওয়েট বক্সিংয়ে (৬৯-৭৫ কেজি বিভাগ) আলজিরিয়ার ইচরাক চাইব-কে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ভারতের বক্সার।
৩০ বছর বয়সী পূজা রানি বয়সে তাঁর চেয়ে ১০ বছরের ছোট প্রতিপক্ষকে কার্যত দাঁড়াতেই দেননি। ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে ৫-০ ব্যবধানে জিতলেন তিনি। দুবারের এশীয় চ্যাম্পিয়ন বক্সার পূজা সুবিধা পেয়ে যান তাঁর প্রতিপক্ষ রিংয়ে ভারসাম্য নিয়ে সমস্যায় পড়ে যেতে। প্রতিপক্ষকে কার্যত কোনও সুযোগই দেননি পূজা।
বুধবার পূজার প্রতিপক্ষ ইচরাকেরও এটা প্রথম অলিম্পিক্স। তবে তিনটি রাউন্ডেই তাঁকে প্রত্যাবর্তনের কোনও সুযোগ দেননি পূজা। তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কৌশতগতভাবে সবসময়ই এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় বক্সার। ইচরাকের বেশিরভাগ পাঞ্চই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অন্যদিকে পূজা প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলার কৌশল নিয়েছিলেন।
রানির অলিম্পিক্স খেলা বেশ নাটকীয়ভাবে। আর্থিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি সামলাতে হয়েছে একটি বড়সড় চোট আর একটি দুর্ঘটনা। কাঁধে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন রানি। তাঁর করিয়ারই বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি তাঁর হাত পুড়ে গিয়েছিল একবার। তবে সবরকম প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে টোকিওতে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
পূজার বাবা পুলিশকর্মী। তবে মেয়ের বক্সিং রিংয়ে নামা মেনে নিতে পারেননি। বুঝিয়েছিলেন, বক্সিং শুধুমাত্র মারদাঙ্গা করা লোকজনদের জন্য। কিন্তু সেই নিষেধ শোনেননি পূজা।
বুধবার অলিম্পিক্সে ভারতের দিনের শুরুটা ভাল হয়নি। মহিলাদের হকিতে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ৪-১ ব্যবধানে হেরে যায় ভারত। তবে ব্যাডমিন্টনে দাপট দেখান পি ভি সিন্ধু। হংকংয়ের প্রতিপক্ষকে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে নক আউটে পৌঁছে গিয়েছেন সিন্ধু। খেলার ফল সিন্ধুর পক্ষে ২১-৯, ২১-১৬।
অন্যদিকে, তিরন্দাজিতে পুরুষদের ব্যক্তিগত বিভাগে ১/৩২ রাউন্ডে ইউক্রেনের ওলেকস্লি হানবিনের বিরুদ্ধে ৬-৪ ব্যবধানে জেতেন ভারতের তরুণদীপ রাই। ১/৩২ রাউন্ডে ব্যক্তিগত ইভেন্টে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছন প্রবীণ যাদবও। বিশ্বের ২ নম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে চমক দেন তিনি। তবে ১/১৬ রাউন্ডে হেরে যান প্রবীণ। অন্যদিকে মহিলা তিরন্দাজির ব্যক্তিগত বিভাগে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন দীপিকা কুমারী।