ABP Exclusive: পরিচয়পত্রের বিভ্রাটে পিছিয়ে গেল ফেরা, ৪টি আঙুল বাদ যেন না যায়, প্রার্থনা পিয়ালির
Piyali Basak Exclusive: পরিচয়পত্র খুঁজে না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় ফেরার কথা থাকলেও, বিমানে উঠতে পারলেন না পিয়ালি। পিছিয়ে গেল তাঁর ঘরে ফেরাও।
![ABP Exclusive: পরিচয়পত্রের বিভ্রাটে পিছিয়ে গেল ফেরা, ৪টি আঙুল বাদ যেন না যায়, প্রার্থনা পিয়ালির Piyali Basak mountaineer of Chandannagore stuck at Bagdogra, gradually recovering from frost byte and pneumonia ABP Exclusive: পরিচয়পত্রের বিভ্রাটে পিছিয়ে গেল ফেরা, ৪টি আঙুল বাদ যেন না যায়, প্রার্থনা পিয়ালির](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/06/01/d8dd625f7794b54a9c6dbf8150216de9168561801291350_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: স্নো ব্লাইন্ডনেস কেটেছে। তবে নিউমোনিয়া সারতে সময় লাগবে আরও এক মাস। চন্দননগরের পর্বতারোহী পিয়ালি বসাককে (Piyali Basak) অবশ্য সবচেয়ে উদ্বেগে রেখেছে পায়ের ৪টি আঙুল। তুষারক্ষতে যে আঙুলগুলির ভয়াবহ অবস্থা। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো, পরিচয়পত্র খুঁজে না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় ফেরার কথা থাকলেও, বিমানে উঠতে পারলেন না পিয়ালি। পিছিয়ে গেল তাঁর ঘরে ফেরাও।
বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেই মোবাইল ফোনে পিয়ালি বলছিলেন, 'আমার কাগজপত্র সব ওলটপালট হয়ে রয়েছে। তবে ফোনে পাসপোর্ট-সহ সব নথিরই সফট কপি রয়েছে। ভেবেছিলাম বিমানবন্দরে সেগুলো দেখালে কাজ চলে যাবে। কিন্তু সেটা হল না। হার্ড কপি না দেখালে হবে না। তাই আটকে গেলাম। ৩ জুন ফের কলকাতায় ফেরার টিকিট করিয়েছি।'
মাকালু শৃঙ্গ জয় করার পর ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল চন্দননগরের পাহাড় কন্যার। চোখের গগলস সাইজে বড় ছিল বলে খুলে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রতিকূল হয়ে পড়েছিল আবহাওয়াও। স্নো ব্লাইন্ডনেসে আক্রান্ত হন। চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। তাই নামতে পারেননি। পাহাড়ের বরফের দেওয়ালের খাঁজে শুধুমাত্র পায়ের আঙুল দিয়ে কোনওমতে দাঁড়িয়েছিলেন। এক-আধ ঘণ্টা নয়। দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা! তারপর তাঁকে সাহায্যকারী দল গিয়ে নামিয়ে আনে।
সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন। কেমন আছেন পিয়ালি? এবিপি লাইভকে অদম্য বঙ্গকন্যা বললেন, 'আগের চেয়ে অনেকটাই ভাল আছি। স্নো ব্লাইন্ডনেস কেটেছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সেরে উঠতে এক মাস সময় লাগবে। তবে পায়ের চারটি আঙুল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।'
পিয়ালি যোগ করলেন, 'পাহাড়ের বরফের খাঁজে ২২ ঘণ্টা আঙুলে ভর করে দাঁড়িয়েছিলাম। তাপমাত্রা তখন হিমাঙ্কের অনেক নীচে। মাইনাস ৫০-৬০ ডিগ্রি। ফ্রস্ট বাইট হয়েছে। পায়ের চারটি আঙুল কালো হয়ে রয়েছে। অসাড় হয়ে রয়েছে আঙুলগুলি। যেটুকু অংশে সার রয়েছে, তাতে প্রবল যন্ত্রণা হচ্ছে। হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে। আঙুল অসাড় থাকায় হাঁটার সময় গোড়ালির ওপর চাপ বেশি পড়ছে। যন্ত্রণা হচ্ছে।'
চিকিৎসকেরা আশ্বস্ত করেছেন। পিয়ালির কথায়, 'রোজ এক ঘণ্টা করে গরম জলে আঙুল ডুবিয়ে রাখতে হচ্ছে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর ওষুধ চলছে। সঙ্গে মলমও লাগাতে হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ৬ মাস সময় লাগতে পারে সেরে উঠতে। প্রার্থনা করছি আঙুলগুলো কেটে বাদ যেন না দিতে হয়।'
আরও পড়ুন: হাঁটুর সমস্যা দূর করতে এবার মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ধোনি?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)