এক্সপ্লোর
Advertisement
দলের বিন্যাসের কথা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রায়ডুকে নেওয়া হয়নি, ব্যাখ্যা প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদের
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার অম্বাতি রায়ডুর ব্যাঙ্গাত্মক ৩ ডি ট্যুইট বেশ শোরগোল ফেলেছিল। তিনি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকলেও শেষপর্যন্ত তাঁকে পরিবর্ত হিসেবেও নেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন রায়ডু।যদিও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রায়ডুকে না নেওয়ার সপক্ষে সওয়াল করলেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ।
মুম্বই: বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার অম্বাতি রায়ডুর ব্যাঙ্গাত্মক ৩ ডি ট্যুইট বেশ শোরগোল ফেলেছিল। তিনি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকলেও শেষপর্যন্ত তাঁকে পরিবর্ত হিসেবেও নেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন রায়ডু।যদিও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রায়ডুকে না নেওয়ার সপক্ষে সওয়াল করলেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ। এক্ষেত্রে নির্বাচক কমিটি কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব করেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপ চলাকালে বিজয় শঙ্কর চোট পাওয়ার পর ইংল্যান্ডে রায়ডুর পরিবর্তে পাঠানো হয়েছিল মায়াঙ্ক অগ্রবালকে। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রসাদ বলেছেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়েছিলেন ওপেনার কেএল রাহুল। সে কথা মাথায় রেখেই রায়ডুর পরিবর্তে মায়াঙ্ককে দলে নেওয়া হয়েছিল।
যদিও প্রসাদের এই যুক্তি ধোপে টিকছে না। কারণ, ওই ম্যাচের পর সেমিফাইনাল সহ তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন রাহুল।
বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ের পর বিজয় শঙ্করকে ‘থ্রি ডায়মেনশনাল’ ক্রিকেটার বলে উল্লেখ করেছিলেন প্রসাদ। তাঁর ওই মন্তব্যকে ব্যঙ্গ করেই রায়ডু ট্যুইট করেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ দেখার জন্য আমি সবে ৩ ডি চশমার অর্ডার দিলাম’।
এই ট্যুইটের ফলেই রায়ডু দুজন প্লেয়ার চোট পাওয়া সত্ত্বেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি বলে অনেকেই ধারণা।
মায়াঙ্ককে দলে নেওয়ার কয়েকদিন পরই রায়ডু অবসর ঘোষণা করেছিলেন।
রায়ডুর ওই ট্যুইট সম্পর্কে প্রসাদ মজার ছলেই বলেছেন, ‘এটা দারুণ ট্যুইট ও সময়োচিতও বটে। খুবই উপভোগ করেছি’।
সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দলের বিন্যাস ও গঠনের কারণেই রায়ডুকে নেওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি বলেও প্রধান নির্বাচক দাবি করেছেন।
প্রসাদ জানিয়েছেন, রাহুলের কভার হিসেবেই মায়াঙ্ককে নেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট লিখিতভাবে একজন ওপেনারকে চেয়েছিল।
নির্বাচক কমিটির প্রধান রায়ডুর সঙ্গে সহমর্মিতাও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কোনও প্লেয়ারকে তাঁরা নির্বাচন করার পর সে ভাল খেললে যেমন তাঁদের আনন্দ হয়, খারাপ খেললেও তাঁদের খারাপ লাগে। সেই জায়গা থেকে কোনও ক্রিকেটার যদি ক্ষোভে অবসর নিয়ে নেয়, তা খারাপই লাগে নির্বাচকদের।
রায়ডুর ক্ষোভের কারণ থাকলেও প্রসাদ মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ২০১৮-তে টি ২০ তে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দলে নেওয়ার পর তিনি যখন চোট পেয়েছিলেন, তখন নির্বাচক কমিটি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের গঠন ও বিন্যাসের জন্যই রায়ডুকে দলে নেওয়া হয়নি। এজন্য নির্বাচক কমিটি পক্ষপাতিত্ব করেছে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন প্রসাদ।
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement