Ranji Trophy: মন্দ আলোয় নষ্ট ২৫ মিনিট, সহজ ক্যাচ ফেলে কাঠগড়ায় শাহবাজ
Eden Gardens: বাংলার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনায় জল ঢাললেন শাহবাজ আমেদ। ফেলে দিলেন লোপ্পা ক্যাচ। সব মিলিয়ে রঞ্জি ট্রফি থেকে ক্রমশই দূরে সরছে বাংলা শিবির।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বাংলা (Ben vs Sau)। তার ওপর বাদ সাধল শুক্রবারের মেঘলা আকাশ। আলো এতই কমে গেল যে, ম্যাচ বন্ধ রাখতে হল ২৫ মিনিট।
আর বাংলার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনায় জল ঢাললেন শাহবাজ আমেদ। ফেলে দিলেন লোপ্পা ক্যাচ। সব মিলিয়ে রঞ্জি ট্রফি থেকে ক্রমশই দূরে সরছে বাংলা শিবির।
চা পানের বিরতিতে সৌরাষ্ট্রের রান ছিল ৬৭ ওভারে ২৩৮/৫। বাংলার চেয়ে ৬৪ রানের লিড নিয়ে ফেলেছিলেন অর্পিত বাসবডারা। তবে চা পানের বিরতির পর নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু করা যায়নি। মেঘলা আকাশে আলো পড়ে গিয়েছিল দ্রুত। মন্দ আলোর জন্য খেলা শুরু করেননি আম্পায়াররা। ২৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর ম্যাচ ফের শুরু হয়।
ম্যাচ শুরু করা নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে রীতিমতো তর্ক করতে দেখা যায় বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে। যা দেখে গ্যালারিও তখন যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল। বাংলা ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাতেও হঠাৎ লড়াকু আঁচ ফিরে এল যেন। চা পানের বিরতির পর প্রথম ওভার বল করতে এলেন মুকেশ কুমার। আর সেই ওভারেই চিরাগ জানি তাঁর বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুললে ডিপ স্কোয়্যার লেগ বাউন্ডারিতে।
তবে ঘটনার ঘনঘটা তখনও বাকি। কারণ, চিরাগের লোপ্পা ক্যাচ পেলে দিলেন শাহবাজ আমেদ। যাঁকে বাংলা দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার মনে করা হয়। ভারতীয় দলেও খেলেছেন। আইপিএলে খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই করেছিলেন। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে বাংলার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নষ্ট করলেন শাহবাজ। চিরাগের রান তখন ২৫।
ইডেন গার্ডেন্স থেকে লাইভ আপডেটস:
প্রথম দিনের খেলার শেষে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) মরণকামড়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোণঠাসা হয়ে পড়েও বলেছিলেন, ঘুরে দাঁড়াবে বাংলা। এমনকী, ৮১/২ স্কোরে থাকা সৌরাষ্ট্রকে আর ৬০ রানের মধ্যে অল আউট করে দেওয়ায় সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন বঙ্গ অধিনায়ক।
কিন্তু মাঠে সেই আঁচ দেখা গেল না বাংলার বোলিংয়ে। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ২৯ ওভারে সৌরাষ্ট্রের দুটিমাত্র উইকেট ফেলতে পারলেন বাংলার বোলাররা। ৬৭ রান খরচ করে। প্রথম সেশনের শেষে সৌরাষ্ট্রের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ১৪৮/৪। বাংলার চেয়ে ২৬ রানে পিছিয়ে ছিল জয়দেব উনাদকটের দল। দ্বিতীয় সেশনে আরও ৯০ রান যোগ করে সৌরাষ্ট্র।