Manoj Tiwary: ও মন্ত্রীমশাই! প্র্যাক্টিস শেষে প্রবল প্রতিপক্ষের ডাক, খুনসুটিতে মাতলেন বঙ্গ অধিনায়ক
Ranji Trophy Exclusive: ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলা ও সৌরাষ্ট্র, দুই শিবিরে যুদ্ধের আঁচ আরও বাড়বে বলেই ধারণা ছিল সকলের। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন সম্পূর্ণ অন্য ছবি ধরা পড়ল ইডেনে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ম্যাচের দুদিন আগেও প্রবল গোলাগুলি বর্ষণ চলছিল দুই শিবিরে। মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) বলে দিয়েছিলেন, একপেশেভাবে রঞ্জি ফাইনাল জিতবে বাংলা। যার জবাবে জয়দেব উনাদকাট (Joydev Unadkat) বলেছিলেন, খেলাটা তো হবে মাঠে।
রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলা ও সৌরাষ্ট্র (Ben vs Sau), দুই শিবিরে যুদ্ধের আঁচ আরও বাড়বে বলেই ধারণা ছিল সকলের। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন সম্পূর্ণ অন্য ছবি ধরা পড়ল ইডেনে। শিঙা ফোঁকাফুঁকি নয়, সেখানে যেন সৌহার্দ্যের বার্তা।
প্র্যাক্টিসের শেষে মাঠ থেকে বেরনোর সময় মনোজ তিওয়ারি আচমকা শুনতে পেলেন ডাক, 'মন্ত্রী, ও মন্ত্রী।' ঘুরে দেখলেন মনোজ। হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছেন উনাদকট। করমর্দন করলেন। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলেন দুজনে। ইডেনে দিনের সেরা ফ্রেম।
কী কথা হল? মনোজ বলছিলেন, 'ও আমাকে দেখে মজা করে মন্ত্রী, মন্ত্রী বলে ডাকছিল। তারপর আড্ডা হল।' যোগ করলেন, 'জয়দেব আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমি আর ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলেছি। আমরা রুমমেট ছিলাম। প্রচুর গল্প করে, আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছি। একসঙ্গে প্লে স্টেশন খেলেছি প্রচুর।'
জয়দেবের গলাতেও সৌজন্য। বলছিলেন, 'মনোজ বলেছে ওরা এগিয়ে? ভাল তো। মাঠে ভাল খেলা দেখতে পাবেন সকলে।'
কিন্তু সৌজন্য যে কার্যত খোলস, বরং দুই শিবিরের মধ্যে ছাইচাপা অবস্থায় আগুন জ্বলছে, তা প্রতিফলিত হচ্ছে ক্রিকেটারদের কথাতেই। কারণ, মনোজ সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, সৌহার্দ্য, করমর্দন, সব মাঠের বাইরে। মাঠের ভেতরে কোনও আপোস নেই। সেখানে তাঁরা ক্ষুধার্ত। সাফল্যের জন্য মরিয়া।
মনোজ বলছিলেন, 'মাঠে আমরা নির্মম। জেতার জন্য সব কিছু করতে পারি। জয়দেব আমার ভাইয়ের মতো। কিন্তু মাঠে নামলে কাউকে চিনি না।' প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ঝুলিতে ৯৮৩৩ রান। আর ১৬৭ রান করলেই দশহাজারি মাইলফলক স্পর্শ করবেন। যদিও মনোজ সেসব নিয়ে ভাবতে নারাজ। বলছেন, 'আগে এসব নিয়ে ভাবতাম। তাতে অনেক ক্ষতিও হয়েছে। আর এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নই। ম্যাচ জেতা ছাড়া কিছু ভাবছি না। তাতে যদি ১৫০ বলে ৪০ রান করি, তাও কোনও আক্ষেপ থাকবে না।'
সম্ভবত ফাইনাল খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মনোজ। তার আগে নিজের ট্রফি ক্যাবিনেটে রঞ্জির পদকটা নিশ্চিত করে রাখতে মরিয়া মনোজ।