Ranji Trophy: সৌরাষ্ট্রকে জোড়া ধাক্কা, হাতে আর ৯৩ রানের পুঁজি, ঘুরে দাঁড়ানোর অগ্নিপরীক্ষা বাংলার
Bengal vs Saurashtra: বাংলার প্রথম ইনিংসে তোলা ১৭৪ রানের জবাবে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের স্কোর ৮১/২।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: আকাশ দীপের (Akash Deep) অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট সরাতে পারলেন না জয় গোহিল। স্টাম্পে টেনে আনলেন। উইকেট ভেঙে যেতেই উচ্ছ্বাস বাংলার ক্রিকেটারদের (Bengal vs Saurashtra)। গর্জন পেসার আকাশ দীপের। তারপর যেন অন্য এক আকাশ দীপকে দেখা গেল। দেখে কে বলবে, পরস্পর নো বল করে বাংলা শিবিরকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার।
সৌরাষ্ট্রের প্রথম উইকেট পড়ার পরই যেন প্রাণ ফিরে পেল বাংলা। আকাশ দীপের ঝুলিতে দ্বিতীয় উইকেটও জমা পড়তে পারত। যদি উইকেটের পিছনে বিশ্বরাজ জাডেজার কঠিন ক্যাচ দরে নিতে পারতেন উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল। বিশ্বরাজের ব্যক্তিগত রান তখন ৪। তবে তাঁকে ফিরিয়ে দেন মুকেশ কুমার। ২৫ রান করে ফেরেন বিশ্বরাজ। উইকেটের পিছনে এবার আর ভুল করেননি অভিষেক।
বাংলার প্রথম ইনিংসে তোলা ১৭৪ রানের জবাবে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের স্কোর ৮১/২। ১৭ ওভারের শেষে। ক্রিজে রয়েছেন হার্ভিক দেশাই। ৩৮ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গে নৈশপ্রহরী চেতন সাকারিয়া। ২ রানে ক্রিজে তিনি। বাংলা এখনও ৯৩ রানে এগিয়ে। শুক্রবারের প্রথম সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলার পেসাররা সৌরাষ্ট্রের ইনিংস কত তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারেন, তার ওপর নির্ভর করবে ম্য়াচের ভাগ্য।
তার আগে ইডেনে সৌরাষ্ট্রের পেসারদের সামনে কেঁপে যায় বাংলা (Ben vs Sau)। মাত্র ১৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। মাত্র ৫৪.১ ওভারে। বাংলা (Ranji Trophy) শিবির থেকে বলা হচ্ছিল, গতির কড়াইয়ে ফেলা হবে বিপক্ষকে। পেস-অস্ত্রে ঘায়েল করা হবে সৌরাষ্ট্রকে। রাজকোটের মন্থর গতির, লো বাউন্সের উইকেটে খেলে যারা অভ্যস্ত, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে গতি ও বাউন্সে। যে কারণে সেমিফাইনালে পারফর্ম করেও বাদ পড়তে হয়েছে প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। বাঁহাতি স্পিনারের পরিবর্তে খেলছেন মিডিয়াম পেসার আকাশ ঘটক। কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল, সবুজ পিচের কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে ফালাফালা করে দিল বাংলা শিবিরকেই।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকট। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। যখন মনে হচ্ছিল, একশো রানের মধ্যেই না অল আউট হয়ে যায় বাংলা, তখনই প্রত্যাঘাত। ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই শুরু করেন শাহবাজ আমেদ ও অভিষেক পোড়েল।
বৃহস্পতিবার শাহবাজ যখন ব্যাট করতে নামলেন, স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ৬৫/৬। ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। খেলা দেখতে আসা হাজার তিনেক সমর্থকের মধ্যে তখন যেন শ্মশানের নীরবতা। ইডেন গার্ডেন্সের ক্লাব হাউস চত্বর থমথমে।
চাপের মুখে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন শাহবাজ। ১১২ বলে ৬৯ রান করলেন। শাহবাজের ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি। সপ্তম উইকেটে অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে ১০১ রানের লড়াকু পার্টনারশিপ গড়লেন শাহবাজ। ৫০ রান করে আউট হন অভিষেক পোড়েল। ফাইনালে ঘুরে দাঁড়াতে এবার বাংলার ভরসা বোলাররা।
আরও পড়ুন: রহিম সাহেবের ডাকার ধরনে ক্ষুব্ধ হন, পরে কিংবদন্তি কোচের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন বলরাম