Ranji Trophy: ফের ব্যাট হাতে দাপট অনুষ্টুপের, ৫৪৭ রানের লিড, রঞ্জি ফাইনালের পথে বাংলা
Ben vs MP: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে খেলা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল বাংলা। সেই সঙ্গে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ও কার্যত বাঁধা।
ইনদওর: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে খেলা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল বাংলা (Ben vs MP)। সেই সঙ্গে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ও কার্যত বাঁধা। অলৌকিক কিছু না ঘটলে খালি হাতেই ফিরতে হবে রজত পতিদার-বেঙ্কটেশ আইয়ারদের।
কারণ, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৫৪৭ রানের বিশাল লিড নিল বাংলা। এখনও ব্যাট করছে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও হাতে রয়েছে এক উইকেট। কাল, রবিবার ম্যাচের শেষ দিন। মধ্যপ্রদেশের পক্ষে একদিনে প্রায় সাড়ে পাঁচশো রান তাড়া করে জেতা কার্যত অলীক। মনোজ তিওয়ারিদের ফাইনালে ওঠা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
শুক্রবার ম্যাচের তৃতীয় দিন খেলা শেষ হয়েছিল যখন, বাংলার স্কোর ছিল ৫৯/২। ৩২৭ রানের লিড নিয়েছিল বাংলা। তখনই বোঝা যাচ্ছিল যে, ম্যাচের রাশ বাংলারই হাতে। শনিবার, ম্যাচের চতুর্থ দিন সেই লিড বাড়িয়ে ৫৪৭ রানের করে ফেলল বাংলা। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার স্কোর ২৭৯/৯। সারাদিন ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান যোগ করল বাংলা।
এবং প্রথম ইনিংসের মতো, দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলার নায়ক অনুষ্টুপ। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে হুগলির ক্রিকেটার করলেন ৮০ রান। তিনিই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার সর্বোচ্চ স্কোরার। ৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন অনুষ্টুপ। ভাঙা আঙুল নিয়েও যিনি ব্যাট করে যাচ্ছেন। প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষ ফিল্ডারের ছোড়া বলে ভাঙা আঙুলেই চোট পেয়েছিলেন। যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি অনুষ্টুপ। পুরস্কারও পেলেন। ফের ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি বঙ্গ তারকার। তবে তাঁর আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আম্পায়ার অনিল চৌধুরী তাঁকে এলবিডব্লিউ দিলেও বল ব্যাটের কানায় লেগেছিল বলেই রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে। যা নিয়ে বাংলা শিবিরে ক্ষোভও রয়েছে।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা আর এক ব্যাটার সুদীপ কুমার ঘরামি দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ রান করলেন। তবে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। বাঁহাতি স্পিনার ৬০ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ১ রান করে ক্রিজে ঈশান পোড়েল। মধ্যপ্রদেশ বোলারদের মধ্যে সারাংশ জৈন ৪২ ওভারে ১০৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। তিনটি উইকেট কুমার কার্তিকেয়র। মধ্যপ্রদেশ বোলারদের মধ্যে আর কেউই নজর কাড়তে পারেননি। মধ্যপ্রদেশের সেরা বোলার মনে করা হয় যাঁকে, সেই আবেশ খান ১১ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে কোনও উইকেট পাননি।
মনোজ-অনুষ্টুপরা ফাইনালে উঠলে খেলা ইডেন গার্ডেন্সে হওয়ার সম্ভাবনা। কারণ, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কর্নাটকের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের লিড নিয়েছে সৌরাষ্ট্র। অর্পিত বাসবডাদের ফাইনালে খেলা কার্যত নিশ্চিত। আর বাংলা বনাম সৌরাষ্ট্র ফাইনাল হলে সেই ম্যাচ হবে ইডেনে। যেহেতু বাংলা গ্রুপ পর্বে পয়েন্টের নিরিখে এগিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তনেই ম্যাচের সেরা, তবুও আইসিসির শাস্তির কবলে জাডেজা