Ranji Trophy: মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে শুরুর জোড়া ধাক্কা সামলেও লাঞ্চের মধ্যেই একশো পেরল বাংলা
Ben vs MP: ৫৫ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত সুদীপ। ৫৯ বলে ২৪ রানে ক্রিজে অনুষ্টুপ। অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপে ১১২ বলে ৬০ রান যোগ করেছেন দুই ক্রিকেটার।
ইনদওর: ওপেনিং সমস্যা কাটাতে সেমিফাইনালের দলে বদলের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল বাংলা শিবির। প্রত্যাশা মতোই, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে কর্ণ লালকে সুযোগ গিয়েছে বাংলা। কাজি জুনেইদ সইফির পরিবর্তে। এবং কর্ণই বুধবার অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে বাংলার ইনিংস ওপেন করেন।
বাংলার ওপেনাররা ভাল শুরু করলেও, আচমকাই ঘনিয়েছিল উদ্বেগের মেঘ। ৪ বলের ব্যবধানে ছিটকে গিয়েছিল দুই ওপেনারের স্টাম্প। প্রথমে অভিমন্যু ঈশ্বরণ। গৌরব যাদবের বলের লাইন ফস্কে বোল্ড হন অভিমন্যু। ৩৩ বলে ২৭ রান করে। তার ৪ বল পড়েই কার্যত একই কায়দায় বোল্ড হন কর্ণ। অনুভব অগ্রবালের বলের লাইন ফস্কে। ৪৫ বলে ২৩ রান করেন কর্ণ। টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করে বিনা উইকেটে ৫০ রান থেকে এক সময় ৫১/২ হয়ে গিয়েছিল বাংলা।
কিন্তু সেখান থেকে বাংলা ইনিংসকে টেনে তুলেছেন কার্যত দুই প্রজন্মের দুই ব্যাটার। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ও তরুণ তুর্কি সুদীপ ঘরামি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বাংলার স্কোর ১১১/২। ৫৫ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত সুদীপ। ৫৯ বলে ২৪ রানে ক্রিজে অনুষ্টুপ। অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপে ১১২ বলে ৬০ রান যোগ করেছেন দুই ক্রিকেটার।
তবে ক্রিজে একবার প্রাণরক্ষা হয়েছে সুদীপের। ব্যক্তিগত ২৬ রানের মাথায় সারাংশ জৈনের বলে খোঁচা দিয়েছিলেন নৈহাটির ক্রিকেটার। কিন্তু প্রথম স্লিপে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন রজত পাতিদার।
পরপর তিনবার। রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে খেলারর হ্যাটট্রিক করল বাংলা। যদিও ট্রফি প্রত্যেকবার অধরাই থেকে গিয়েছে। এবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মনোজ তিওয়ারিদের প্রতিপক্ষ মধ্যপ্রদেশ। যারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। এবং তার চেয়েও বড় কথা, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হেরেই গতবার শেষ চার থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাকে।
মধ্যপ্রদেশকে হারিয়ে কি গতবারের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পারবে বাংলা?
মধ্যপ্রদেশের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত (Chandrakant Pandit)। ঘরোয়া ক্রিকেটের চাণক্য বলা হয় তাঁকে। আগামী আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ হিসাবে দেখা যাবে পণ্ডিতকে। মধ্যপ্রদেশ কোচের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক কি বাংলার অন্তরায় হবে? বাংলার অন্যতম কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলছিলেন, 'চন্দু ভাই (ঘরোয়া ক্রিকেটে এই নামেই পরিচিত চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত) তো আর মাঠে নেমে খেলবেন না। ক্রিকেটারদেরই খেলতে হবে। তাই ওঁর স্ট্র্যাটেজির জন্য আমরা চাপে পড়ে যাব, তা মোটেও নয়। যারা ভাল ক্রিকেট খেলবে তারাই জিতবে।'
আরও পড়ুন: কাউন্টডাউন শুরু...ফটোসেশনেই নিজের লক্ষ্য বুঝিয়ে দিলেন রোহিত, সূর্যরা