T20 World Cup: আফ্রিদির ভয়ঙ্কর ইয়র্কারে আহত, হাসপাতালে যেতে হল আফগান ব্যাটারকে
T20 World Cup 2022: সেই ম্যাচে ২ ওভার বল করলেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি আফ্রিদি। হাঁটুর চোট সারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনেই বিশ্বকাপের মঞ্চ।
সিডনি: এশিয়া কাপে চোটের জন্য খেলতে পারেননি। ভারতের বিরুদ্ধে রবিবার মাঠে নামার আগে রোহিত বাহিনীকে সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন শাহিন আফ্রিদি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান শিবির। আর সেই ম্যাচে ভয়ঙ্কর ইয়র্কারে আফগান ব্যাটারকে আহত করে হাসপাতালে পাঠালেন এই তরুণ বাঁহাতি পেসার। আফগানিস্তানের হয়ে ব্যাটিং করছিলেন রহমনউল্লাহ গুরবাজ। তাঁকে দেখা যায় যে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যেতে। পরে হাসপাতালে যেতে হয় তাঁকে। ম্যাচে ২ উইকেট নেন আফ্রিদি।
প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে ২ ওভার বল করলেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি আফ্রিদি। হাঁটুর চোট সারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনেই বিশ্বকাপের মঞ্চ। তার ওপর প্রথম ম্যাচে সামনে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। আফ্রিদি দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন। বল হাতে নিজের প্রথম ওভারেই গুরবাজকে লেগবিফোর করে দেন পাক পেসার। বল সরাসরি গিয়ে আফগান ব্য়াটারের পায়ের পাতায় লাগে। ব্যথা অনুভব করছিলেন তখনই গুরবাজ। পরে স্ক্যানের জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে ৬ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৫৪ তুলে নেয় আফগানিস্তান। জবাবে বিনা উইকেটে ১৯ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। এরপরই বৃষ্টি নামে। আর খেলা হয়নি।
Shaheen Afridi is Back 💪🏻🦅 pic.twitter.com/JdBkNjkS45
— Ayesha 🇵🇰|| shanzay stan 💗 (@aasho56) October 19, 2022
প্রস্তুতি ম্যাচে খেলা হল না এক বলও
এদিকে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামার আগে এটাই ছিল শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের সামনে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে এক বলও মাঠে গড়াল না। বৃষ্টির জন্য টসটুকুও করা সম্ভব হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে সোমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে ৬ রানে হারিয়ে দেয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৮৬/৭। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮০ রানে শেষ হয়ে যায় গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শামি মাত্র এক ওভার বল করেন। ৬ বলেই তিনি তুলে নেন তিন উইকেট। তাঁর শিকার জশ ইংলিস, প্যাট কামিন্স ও কেন রিচার্ডসন। সেই ওভারে একটি রান আউটও হয়। সব মিলিয়ে ওই ওভারে চার উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওঠে মাত্র ৪ রান।