IND vs ENG: তাঁর নেতৃত্বেই আইপিএলে খেলবেন রবিন, বিমানবন্দরে রাঁচির তরুণের বাবার সঙ্গে দেখা করলেন গিল
Subhman Gill: তাঁর বাবা ফ্রান্সিস মিঞ্জ রাঁচি বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব সামলান। ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল রাঁচিতে। ম্যাচ জিতেছে ভারত। পরবর্তী যাত্রা ছিল রোহিতদের ধর্মশালা।
রাঁচি: আইপিএলের নিলামের মঞ্চে নজর কেড়েছিলেন রাঁচির এক তরুণ। প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে ফ্রাঞ্চাইজি লিগে দল পেয়েছেন রবিন মিঞ্জ (Robin MInz)। তাঁর বাবা ফ্রান্সিস মিঞ্জ (Francis Minz) রাঁচি বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব সামলান। ভারত-ইংল্যান্ড (IND vs ENG) চতুর্থ টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল রাঁচিতে। ম্যাচ জিতেছে ভারত। সেখান থেকেই পরবর্তী যাত্রা ছিল রোহিতদের ধর্মশালা। সেখানে যাওয়ার আগেই রবিনের বাবার সঙ্গে দেখা করলেন শুভমন গিল (Subhman Gill)। আগামী আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের জার্সিতে দেখা যাবে রবিনকে। আর এই দলেরই অধিনায়ক গিল।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ফ্রান্সিসের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে গিল লিখেছেন, "রবিন মিঞ্জের বাবার সঙ্গে দেখা হল। আমি সম্মানিত। রবিন আইপিএলে তোমার সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি।" উল্লেখ্য, রবিন মিঞ্জের বেস প্রাইস ছিল ২০ লক্ষ টাকা। সেখানে থেকে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে দলে নিয়েছিল গুজরাত টাইটান্স। ২১ বছরের তরুণে মারমুখি ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। তাঁকে রাঁচির গেল নামেও সম্বােধন করা হয়। ছেলের এই ক্ষমতা দেখতে পেয়েই তাঁকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ফ্রান্সিস।
Shubman Gill surprises Gujarat Titans team-mate Robin Minz’s father at the airport. 👏
— Johns. (@CricCrazyJohns) February 28, 2024
- A great gesture by the Captain. pic.twitter.com/seTDRrKWVT
কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে রবিন মিঞ্জের বাবা ফ্রান্সিস মিঞ্জ বলেছিলেন যে ছেলে কোটি টাকার চুক্তি আইপিএলে পেলেও তিনি নিজে এখনই চাকরি ছাড়ার কথা কিছু ভাবছেন না। দশকের ওপরে আর্মিতে কাজ করেছেন ফ্রান্সিস। তিনি বলেছিলেন, ''এটা আমার চাকরি। কেউ যেন বিমানবন্দরে বিনা আইডি নিয়ে ঢুকে পড়তে না পারেন, তা দেখতে হবে। আপনি জানেন না যে, কে কখন বন্দুক হাতে ঢুকে পড়বে। একটু কিছু নেতিবাচক হলেই আমার চাকরি চলে যেতে পারে। আমার ছেলে আইপিএলে ক্রিকেটার বলে আমি যে রিল্যাক্স হয়ে যাব, এমনটা না। অবশ্যই, এর ফলে আমার পরিবারে আরও বেশি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে উঠবে। জীবন কখন কোন মোর নেবে কেউ বলতে পারে না। আমার অনেক সহকর্মী আমাকে বল যে আপনার এখন কাজ করার কী প্রয়োজন? কিন্তু আমি তাঁদের একটা কথাই বলেছি যে যতদিন শরীর দেবে, ততদিন কাজ করে যাব। আমি নিজে কিছু আয় করতে না পারলেও আমি রাতে ঠিক করে ঘুমোতে পারব না।''