Bhaichung Bhutia : বিপর্যস্ত সিকিম ডুবে কাদায়, পরিষ্কারে হাত লাগালেন বাইচুংও
Sikkim Flash Flood : গত ৪ অক্টোবর ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ফেটে যায় নর্থ সিকিমের লোনক হ্রদ। নেমে আসে বিপর্যয়ের স্রোত।
গ্যাংটক : প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে সিকিম (Sikkim Disaster)। তছনছ হয়ে গিয়েছে বহু এলাকা। ছবির মতো সুন্দর এলাকাগুলো হয়ে উঠেছিল যেন মৃত্যুপুরী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জারি রয়েছে বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ। কাদা ও পলিমাটির আস্তরণে ঢেকে রয়েছে বহু বাড়ি, এলাকা। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন দলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে স্থানীয়রাও নেমেছেন নিজেদের জায়গা পরিষ্কার করার কাজে। আর যে কাজে নেমেছেন বাইচুং ভুটিয়াও।
ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার নিজে গামবুট পরে ময়লার মধ্যে নেমে পরিষ্কার করছেন বিভিন্ন জায়গা। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমনই একটি ভিডিও। যা পরে নিজের সমাজমাধ্যমের পাতাতেও শেয়ার করেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা সিকিমের ঘরের ছেলে বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বাড়ির মধ্যে জমে থাকা কাদা, পলিমাটি বের করে এনে তা ফেলা হচ্ছে বাড়ির বাইরে। একঝাঁক সিকিমের স্থানীয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সেই ময়লা নিজে হাতে নিয়ে বাইরে ফেলার কাজে বাকিদের সঙ্গেই হাত লাগিয়েছেন বাইচুংও।
গত ৪ অক্টোবর ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ফেটে যায় নর্থ সিকিমের লোনক হ্রদ। নেমে আসে বিপর্যয়ের স্রোত। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উত্তর সিকিমের সিংথাম। তিস্তা এখানে ভয়াল চেহারা নেয়। সিংথামের ইস্ট পয়েন্ট হাইস্কুলের নিচের তলার পুরোটা কাদায় ডুবে যায়। সেবক-রংপো রেললাইন তৈরির কাজে ব্যবহৃত পে লোডার, ক্রেন সব কিছু খেলনা গাড়ির মতো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিপর্যয়ের আগের দিন গভীর রাত থেকে উত্তর সিকিমের দক্ষিণ লোনক লেকের ওপর শুরু হয়েছিল মেঘভাঙা বৃষ্টি। জলের চাপ বাড়তে বাড়তে ভোরের দিকে ফেটে যায় লেক। যার জেরে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে জল। ভেঙে যায় চুংথাম ড্যাম। উত্তর সিকিমের ঘুম ভাঙার আগেই হড়পা বান নেমে আসে তিস্তায়।
ভোরের অন্ধকারে নেমে আসে ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলের স্রোত। ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাস্তা, ঘর, বাড়ি, গাড়ি— সব কিছু। উত্তর সিকিমের সিংতামের কাছে বরদাংয়ের সেনাছাউনিতে কাদাজলের নীচে চাপা পড়ে যায় সেনাবাহিনীর ৪১ টি গাড়ি। ডুবে যায় সেনা ছাউনি। ভেসে যান জওয়ানরা। মৃত্যু হয় অনেকের। যে বিপর্যয় প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তিস্তার গতিপথ রুদ্ধ করে তৈরি হওয়া একাধিক বাঁধ এবং দুই পাড়ের বেআইনি নির্মাণই দায়ী।
আরও পড়ুন- রিজওয়ান থেকে রোহিত, বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় কে কোথায় ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন