Sports Highlights: কর্ণাটকের সন্তোষ জয়, জিতল ইউপি, দিল্লি, খেলার সারাদিনের সব খবর এক নজরে
Top Sports News: খেলার সারাদিনের সেরা খবরগুলি এক নজরে।
কলকাতা: মেঘালয়কে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতল কর্ণাটক। ডব্লিউপিএলের দুই ম্যাচে জয় পেল ইউপি ওয়ারিয়ার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস। এক নজরে খেলার সারাদিনের সব খবর।
তারার দাপটে জিতল দিল্লি
ডব্লিউপিএলের (WPL 2023) দ্বিতীয় ম্যাচে ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৩ রানেই থেমে গেল আরসিবির (Royal Challengers Bangalore) ইনিংস। ৬০ রানে জয় পেলে দিল্লি ক্যাপিটালস। যুক্তরাষ্ট্রের তারা নরিস (Tara Norris) বল হাতে পাঁচ উইকেট নিলেন। তাঁর বোলিংয়ের সুবাদেই জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)।
বড় রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি শুরুটা কিন্তু মন্দ করেনি। আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা ও সোফি ডিভাইন ওপেনিংয়ে ৪১ রান যোগ করেন। তবে পরপর দুই ওভারেই স্মৃতি (৩৫) ও সোফিকে (১৪) সাজঘরে ফেরান অ্যালিস ক্যাপসি। এক চোখ ধাঁধানো ক্যাচ ধরেই সোফিকে সাজঘরে ফেরান শেফালি ভার্মা। সোফি তো প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন। এরপরেই শুরু হয় তারা নরিসের দাপট। ম্যাচের ১১তম ওভারে বল হাতে নিয়েই জোড়া সাফল্য পান তারা। সেট অ্যালিস পেরি (৩১) ও দিশা কাশাতকে (৯) ফেরান তিনি।
এদিন তারার দাপটে রিচা ঘোষও দুই রানের বেশি করতে পারেননি। তারা নিজের দ্বিতীয় ওভারে রিচার পাশাপাশি কণিকা আহুজাকেও একই ওভারে শূন্য রানে ফেরান। পরপর দুই ওভারে তারার দাপট আরসিবির কোমর ভেঙে দেয়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি আরসিবি। শেষের দিকে হায়দার নাইট ও মেগান শ্যুট অষ্টম উইকেটে ৫৪ রান যোগ করেন বটে, তবে তা আরসিবির জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ইরানি জিতল অবশিষ্ট ভারত
ব্যাট হাতে যশস্বী জয়সবালের (Yashasvi Jaiswal) জোড়া শতরানে ভর করে ৩০তম ইরানি ট্রফি জিতল অবশিষ্ট ভারত (Rest of India)। মধ্যপ্রদেশকে ২৩৮ রানের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করল অবশিষ্ট ভারত। চতুর্থ ইনিংসে ৪৩৭ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৯৮ রানেই অল আউট হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ কুমার সর্বাধিক তিন উইকেট নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে যশস্বী মোট ৩৫৭ রান করেন, যা ইরানি ট্রফির ইতিহাসে এক ম্যাচে কোনও ব্যাটারের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান।
ইউপির রুদ্ধশ্বাস জয়
মরসুমের প্রথম ম্যাচে ১৪৩ রানের বড় ব্যবধানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল গুজরাত জায়ান্টসকে (Gujarat Giants)। সেই ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা পরেই, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও ইউপি ওয়ারিয়ার্সের (UP Warriorz) বিরুদ্ধে ফের হৃদয়ভঙ্গ গুজরাতের। অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের অনুপস্থিতিতেই ব্যাট হাতে হরলীন দেওল এবং বল হাতে কিম গার্থের (Kim Garth) পাঁচ উইকেটে ভর করে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল গুজরাত। তবে গ্রেস হ্যারিসের (Grace Harris) দুরন্ত অর্ধশতরান সেই আশা ভেস্তে দিল। গ্রেস ও সোফি একেলস্টানের অপরাজিত ৭০ রানের পার্টনারশিপে তিন উইকেটে জয় পেল ইউপি।
কর্ণাটকের ট্রফি জয়
৫৪ বছর পর ফের সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটক। সৌদির রিয়াদ স্টেডিয়ামে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ৩-২ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সন্তোষ চ্যাম্পিয়ন হয় কর্ণাটক। এর আগে ১৯৬৮-৬৯ মরসুমে শেষবার ব্যাঙ্গালোরে আয়োজিত হওয়া সন্তোষ ট্রফিতে খেতাব জিতেছিল কর্ণাটক। সেবার ফাইনাল ম্যাচে বাংলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কর্ণাটক। সেই সময় কর্ণাটকের নাম ছিল মাইসোর। এরপর থেকে আর কর্ণাটক সন্তোষ ট্রফি জিততে পারেনি। ৫ বার টুর্নামেন্টে রানার্স আপ হয়েছে কর্ণাটক। দলের হয়ে এম সুনীল কুমার (M Sunil Kumar) ২ মিনিটে, বেকে ওরাম (Bekey Oram) ১৯ মিনিটে ও রবিন যাদব (Robin Yadav) ৪৪ মিনিটে গোল করেন। মেঘালয়ের হয়ে খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ব্রলিংটন ওয়ারলারপিহ (Brolington Warlarpih) ৭ মিনিটে ও শিন স্টিভেনসন (Sheen Stevenson) ৬০ মিনিটে গোল করেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে ডব্লিউপিএল, আশাবাদী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্ণধার নীতা আম্বানি