Dipendu Biswas On Subhas Bhowmick Exclusive: ''প্রথম একাদশে সুযোগ না পেয়ে খাবার টেবিলে ভাঙচুর করেছিলাম, উনি নির্বিকার''
Dipendu Biswas On Subhas Bhowmick: শুধু মধুময় অভিজ্ঞতাই নয়, অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতারও সাক্ষী থাকতে হয়েছে। তবে কোচ সুভাষ ভৌমিকের ম্যান ম্যানেজমেন্টের জন্য তাঁকে অন্যতম সেরা কোচের তালিকায় রাখবেন দীপেন্দু।
কলকাতা: নিজে কলকাতার তিন প্রধানেই খেলেছেন। কিন্তু কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলে সুভাষ ভৌমিকের কোচিংয়ে। ২ বছর ছিলেন সেখানে। শুধু মধুময় অভিজ্ঞতাই নয়, অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতারও সাক্ষী থাকতে হয়েছে। তবে কোচ সুভাষ ভৌমিকের ম্যান ম্যানেজমেন্টের জন্য তাঁকে দেশের অন্যতম সেরা কোচের তালিকায় ওপরের দিকেই রাখবেন দীপেন্দু বিশ্বাস।
এই মুহূর্তে মহমেডান ক্লাবের দায়িত্বে রয়েছেন। শনিবার বর্ষীয়ান কোচের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দীপেন্দু এবিপি লাইভকে ফোনে বললেন ফেলে আসা সেই সব দিনের কথা। একই সঙ্গে সুভাষ ভৌমিকের কোচিংয়ে তাঁর খেলার সময় এক অভিজ্ঞতার কথা। দীপেন্দু বলেন, ''আমি ওঁনার কোচিংয়ের মাত্র ২ বছরই খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু শুরুর দিকে আমাকে সেভাবে প্রথম একাদশে কোনওদিনই খেলাতে না। আমি প্রতি ম্যাচেই মোটামুটি গোল পেতাম। সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নেমেও গোল করতাম। এমনকী ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচেও গোল করেছি। কিন্তু উনি খেলাতেন না তবুও প্রথম একাদশে। আমার মনে আছে ২০০৬ সাল আই লিগের সময় অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল কেরালায়। কোচির বিরুদ্ধে ম্যাচেও আমাকে সাবস্টিটিউট নামালেন। আমি গোল করেছিলাম, ইস্টবেঙ্গলও জিতে যায়। কিন্তু সেদিন আমার ভীষণ রাগ হয়েছিল। সোজা খাবার টেবিল গিয়ে প্লেট, গ্লাস সব ছুড়ে ফেলে দিই। প্রথম একাদশে কেন ভাল পারফরম্যান্সের পরও আমাকে খেলাচ্ছেন না, তা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি নির্বিকার। আমি গোল করে দলকে জিতিয়েছিলাম বলে তখন উনি কিছু বলেননি। কিন্তু পরে রাতে আমাকে নিজের রুমে ডেকেছিলেন। খাইয়েছিলে, ভাল করে বুঝিয়েছিলেন, উপহারও দিয়েছিলেন। এরকমই ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। দুর্দান্ত ম্যান ম্য়ানেজমেন্ট করতে পারতেন।''
দীপেন্দু আরও বলছেন, ''প্লেয়ার ও কোচের বাইরে গিয়েও একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন সুভাষ স্যার। ওরকম পাওয়া যাবে না আর। আমি ওঁনার দলে খেলি বা না খেলি, যখনই কোনও সমস্যায় পড়েছি তখনই নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছেন। বৌদিকে বলতেন আমাদের জন্য খাবার বানাতে। ওঁনার বাড়িতে ফুটবল নিয়ে আড্ডা। কীভাবে সমস্যার সমাধান মিলবে সব বাতলে দিতেন।''
শেষ কবে কথা হয়ছিল? জাতীয় দলের প্রাক্তন এই স্ট্রাইকার বলছেন, "উনি অসুস্থ হওয়ার আগে দেখা হয়েছিল গত বছর। অসুস্থ হওয়ার পর ফোন করেছিলাম আমি। বসিরহাটের বিধায়ক ছিলাম বলে যখনই দেখা হত আমাকে বলতেন যে গুড় খাওয়ানোর কথা। উনি গুড় খেতে খুব ভালবাসতেন। এমন দিলদার মানুষ আজকের দিনে পাওয়া মুশকিল।''
আরো পড়ুন: ''রোভার্স কাপে জেসিটির বিরুদ্ধে মাঠেই লড়াইয়ে জড়িয়েছিল''