Susmita Debnath: বাংলা থেকে যোগাসনে প্রতিভার খোঁজে বড় উদ্যোগ হাওড়ার সোনার মেয়ে সুস্মিতার
Susmita Rai Debnath Yoga: হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের তরুণী সুস্মিতা দেবনাথ এবার নতুন এক উদ্যোগ নিলেন। বাংলা থেকে তাঁর মতো যোগাসনে আরও প্রতিভা তুলে আনতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন সুস্মিতা।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: যোগাসনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তিনি। জিতেছেন একাধিক আন্তর্জাতিক পদক। আর্থিক প্রতিকূলতাকে হারিয়ে দেশকে তাঁর গৌরবের মুহূর্ত উপহার দেওয়ার কৃতিত্বকে কুর্নিশ করেছে গোটা বাংলা।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের তরুণী সুস্মিতা দেবনাথ (Susmita Debnath) এবার নতুন এক উদ্যোগ নিলেন। বাংলা থেকে তাঁর মতো যোগাসনে আরও প্রতিভা তুলে আনতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন সুস্মিতা। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে সারা বাংলা এই যোগাসন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন সুস্মিতা। ২ মার্চ, রবিবার হবে প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগীদের জন্য ট্র্যাডিশনাল বিভাগে মোট ৬টি গ্রুপ রাখা হয়েছে। গ্রুপ এ-তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েরা। গ্রুপ বি-তে প্রতিযোগীদের জন্য বয়ঃসীমা রাখা হয়েছে ৮ থেকে ১২ বছর। গ্রুপ সি-তে প্রতিযোগীদের জন্য বয়ঃসীমা রাখা হয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর। গ্রুপ ডি-তে নামতে পারবেন ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রতিযোগীরা। গ্রুপ ই-তে প্রতিযোগীদের জন্য বয়ঃসীমা রাখা হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ বছর। আর একটি বিশেষ গ্রুপ রাখা হচ্ছে শুধু মহিলাদের জন্য। গ্রুপ এফ নামের সেই বিভাগে অংশ নিতে পারবেন ত্রিশোর্ধ্ব সমস্ত মহিলা।
প্রত্যেক বিভাগে বিজয়ীদের জন্য রাখা হচ্ছে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার অর্থ ও শংসাপত্র। স্থান অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্যই থাকবে ট্রফি। এছাড়া প্রত্যেক বিভাগের প্রথম তিন স্থানাধিকারীদের নিয়ে হবে চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন্স বিভাগ। সেই পর্বে যিনি জিতবেন, পাবেন স্বর্ণমূদ্রা। অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তির সাহায্য়ে প্রতিযোগীদের পয়েন্ট দেওয়া হবে।
এবিপি আনন্দকে সুস্মিতা বলছিলেন, 'এর আগে যোগাসনে সারা বাংলা ব্যাপী এত বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়নি। আমার নিজের ছাত্র-ছাত্রীরা ছাড়াও বিভিন্ন যোগাসন শিক্ষকের মাধ্যমে প্রচার করছি। এই প্রতিযোগিতা থেকে বাংলার সব জায়গায় যোগাসন নিয়ে আরও আগ্রহ তৈরি হবে বলেই আমার বিশ্বাস।'
নিজের লক্ষ্যে কিছুটা এগিয়েও গিয়েছেন সুস্মিতা। উদয়নারায়ণপুরে রাই যোগা অ্যাকাডেমিতে প্রায় দেড়শো ছাত্র-ছাত্রীকে যোগাসন শেখান সুস্মিতা। শিক্ষার্থীদের কারও বয়স সাড়ে তিন, তো কেউ মধ্য চল্লিশ। কারও লক্ষ্য যোগাসনকে কেরিয়ার করা, কেউ আবার রোগমুক্তির উদ্দেশে যোগাসন করেন।
উদয়নারায়ণপুর মাধবীলতা মহাবিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুস্মিতা। যোগাসনের শিক্ষিকা হিসাবে মেদিনীপুরের একটি স্কুলে যোগ দিতে চলেছেন। তাঁর কথায়, 'যোগাসন নিয়ে আরও বড় মাপের কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। একটা সংস্থা খুলে রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন স্কুলে বাচ্চাদের যোগাসন শেখাতে চাই।'
আরও পড়ুন: সন্তোষ চ্যাম্পিয়নদের নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের কোন কোন পদে হল চাকরি?