Eng vs Aus: ইংল্যান্ডে প্রথম সেঞ্চুরির আনন্দে ব্যাটই ছুড়ে ফেললেন! টেস্ট জমিয়ে দিলেন খাওয়াজা
Usman Khawaja: দুর্ধর্ষ সেই বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে এতটাই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়লেন খাওয়াজা যে, ব্যাটই ছুড়ে ফেলে দিলেন। তারপর শূন্য হাতেই দৌড় শুরু করলেন।
এজবাস্টন: অ্যাশেজ (Ashes) মানেই যেন ক্রিকেটের টানটান চিত্রনাট্য। আর এক দল যেখানে এক সপ্তাহ আগে টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, আর খেলছে বিপক্ষের ডেরায়, তখন ধুন্ধুমার ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ হতে বাধ্য।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টনে ম্যাচ জমিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া (England vs Australia)। বা বলা ভাল, উসমান খাওয়াজা। ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথের মতো মহারথীরা যে ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ, সেখানে ফুল ফোটালেন বাঁহাতি খাওয়াজা। ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন অজি ওপেনার। ইংল্যান্ডের মাটিতে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। তাও এমন একটা বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে, যে বোলিং বিভাগে রয়েছেন দুই কিংবদন্তি। জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। সঙ্গে অলি রবিনসন, মঈন আলি ও বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
আর দুর্ধর্ষ সেই বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে এতটাই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়লেন খাওয়াজা যে, ব্যাটই ছুড়ে ফেলে দিলেন। তারপর শূন্য হাতেই দৌড় শুরু করলেন। হেলমেট খুলে গর্জন করতে থাকলেন। খাওয়াজার ইনিংসেই ইংল্যান্ডকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টনে দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের স্কোর ৩১১/৫। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোরের চেয়ে আর ৮২ রানে পিছিয়ে অজিরা।
দিনের শেষে ১২৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন খাওয়াজা। ২৭৯ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। একবার আউটও হয়ে গিয়েছিলেন। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে। সেঞ্চুরির পরে। তবে রিপ্লে-তে দেখা যায়, ব্রড ওভার স্টেপ করেছেন। ফলে নো বল হয়ে যায়। প্রাণরক্ষা হয় খাওয়াজার।
দিনের শুরুটা ছিল ইংল্যান্ডের। ডেভিড ওয়ার্নারকে মাত্র ৯ রানের মাথায় বোল্ড করে দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তার পরের বলেই মার্নাস লাবুশেন কট বিহাইন্ড হয়ে যান। বেন স্টোকসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান স্টিভ স্মিথও। মাত্র ১৬ রান করে। ৬৭/৩ হয়ে যাওয়ার পর ইনিংসের হাল ধরেন ট্র্যাভিস হেড ও খাওয়াজা। হেড ৫০ রান করে আউট হন। ক্যামেরন গ্রিন করেন ৩৮ রান।
View this post on Instagram
দিনের শেষে খাওয়াজার সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ৮০ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত তিনি। ইংরেজ বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট ব্রড ও মঈন আলির।