এক্সপ্লোর
Advertisement
চেন্নাই টেস্টে সচিনকে ‘দুসরা’ করতে ভয় পেয়েছিলেন, স্বীকারোক্তি সাকলিনের
সেই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ করে ফেরেন মাস্টার ব্লাস্টার। সঙ্গে সঙ্গে নামে ধস। ১২ রানে সেই টেস্ট জেতে পাকিস্তান।
করাচি: ঠিক ২১ বছর আগে, ১৯৯৯ সালে চেন্নাইয়ে টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভারতকে টেস্টে হারিয়েছিল পাকিস্তান। নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতেছিল ১২ রানে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন সাকলিন মুস্তাক।
পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার জানালেন, সেই টেস্টে সচিন তেন্ডুলকরকে তাঁর সেরা অস্ত্র ‘দুসরা’ করতে ভয় পেয়েছিলেন। ‘দুসরা’র জনক মনে করা হয় সাকলিনকে। পাক অফস্পিনারের যে অস্ত্র এক সময় ব্যাটসম্যানদের ত্রাস ছিল। কিন্তু সাকলিন জানিয়েছেন, সেদিন দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। পিঠে ব্যথা নিয়েও সেই টেস্টে ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন সচিন। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ২৭২ রান করতে নেমে একসময় ৮১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। সেই মারাত্মক চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করেন সচিন। উইকেটকিপার নয়ন মোঙ্গিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টানতে থাকেন। কিন্তু জয়ের থেকে মাত্র ১৭ রান বাকি থাকা অবস্থায় সচিনকে ফেরান সাকলিন। ১৩৬ করে ফেরেন মাস্টার ব্লাস্টার। সঙ্গে সঙ্গে নামে ধস। ১২ রানে সেই টেস্ট জেতে পাকিস্তান।
সেই টেস্ট নিয়ে ইনস্টাগ্রাম লাইভে সাকলিন বলেছেন, “ঈশ্বর সে দিন আমার সঙ্গে ছিলেন। ভাবিনি যে, মাস্টার ব্লাস্টারকে ফেরাতে পারব। কিন্তু ঈশ্বরের পরিকল্পনা মতোই তো সব হয়। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এটা আমাকে স্বস্তি দেবে যে, ওই দিন সচিনকে ফেরাতে পেরেছিলাম। আমার নাম সচিনের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকবে।”
সাকলিন আরও বলেছেন, “ওয়াসিম আক্রম আমার উপর পুরো ভরসা রেখেছিল। বিশ্বাস করছিল যে আমি কিছু ম্যাজিক করে ফেলব দলের জন্য। এই কথাগুলো আমাকে শক্তিশালী করে তুলেছিল। কয়েকটা বাউন্ডারি খেয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ফিরিয়েছিলাম সচিনকে। সচিনের চোখ খুব তীক্ষ্ণ ছিল। ও সব কিছুই দ্রুত ধরে ফেলতে পারত। আর তাই দুসরা করতে ভয় পাচ্ছিলাম। ভাবছিলাম, যদি বাউন্ডারি মেরে দেয়। পিচ ছিল মন্থর, তাই খুব কঠিন হয়ে পড়ছিল।”
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
আজ ফোকাস-এ
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
Advertisement