Kohli Cricket Career: দলে বিভাজন? কোহলির ওয়ান ডে নেতৃত্বও বিপন্ন, মত বোর্ডের একাংশের
টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার অনেককে স্তম্ভিত করে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তার চেয়েও বড় মাপের কোনও চমক কি অপেক্ষা করে রয়েছে স্বয়ং কোহলির জন্য?
মুম্বই: টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার অনেককে স্তম্ভিত করে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তার চেয়েও বড় মাপের কোনও চমক কি অপেক্ষা করে রয়েছে স্বয়ং কোহলির জন্য? ভারতীয় ক্রিকেট মহলে জোর জল্পনা চলছে যে, শীঘ্রই না ওয়ান ডে দলের নেতৃত্বও ছাড়তে হয় কোহলিকে। ওপর ওপর দেখানো হতে পারে কোহলি নিজেই সরে যাচ্ছেন। কিন্তু ভেতরের ছবিটা অন্যরকম দাঁড়াতে পারে। হয়তো কোহলির ওপর চাপ তৈরি করা হতে পারে। টি-টোয়েন্টি দল নিয়েও যে পরিস্থিতির মুখোমুখি কোহলিকে হতে হয়েছিল বলে বোর্ডের কিছু সূত্রের দাবি।
ভারতীয় বোর্ডের একাধিক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোহলির দল পরিচালনা নিয়ে অনেকেই খুশি নন। টেস্টে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাপারে গোঁড়ামি দেখালেও, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ কিছু জায়গায় কোহলির অদূরদর্শিতা ফুটে উঠেছে বলে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্তদের থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
কোহলি নিজে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, তিনি শুধু টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বই ছাড়ছেন। বাকি দুই ফর্ম্যাটে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। মনে করা হচ্ছে, ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোহলি ভারতকে নেতৃত্ব দিতে চান। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাবেন কি? কোহলির বিরুদ্ধে দলেই যে বিপরীতমুখী স্রোত বইতে শুরু করেছে।
ভারতীয় ড্রেসিংরুমের সঙ্গে পরিচিতদের কেউ কেউ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন যে, ভারতীয় দলে স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। যে মেরুর একদিকে কোচ রবি শাস্ত্রী ও বিরাট। অন্যদিকে রোহিত শর্মা ও দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার।
বিরাটের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ যে, তিনি দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্যের মতামত নিতে চান না। নিজে যেটা ভাল মনে করেন তাই করেন। কারও কথা পারতপক্ষে শোনেন না। সে ওভাল টেস্টে আর অশ্বিনকে বসিয়ে রাখাই হোক বা ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে দলের ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর জায়গা নিয়ে অস্থিরতা তৈরি করা।
বলা হচ্ছে, দলের সকলের সঙ্গে মিশতে পারেন না বিরাট। ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা অন্তত গত এক দশক ধরে যুক্ত, তাঁরা অনেকেই বলেন যে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ঘর দলের ক্রিকেটারদের সকলের জন্য দিনভর ২৪X৭ আড্ডার জায়গা। সেখানে সকলে খাওয়াদাওয়া করতেন, প্লে স্টেশন খেলতেন, হইহই করতেন, এবং মাঝে মধ্যে ক্রিকেট নিয়েও আলোচনা করতেন। মাঠের বাইরে কোহলি নাকি নিজেকে সম্পূর্ণ অন্য এক জগতে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। তাই তরুণ ক্রিকেটারেরা ধোনির কাছে যতটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন, কোহলির কাছে তাঁর সিকিভাগও নন। রোহিত এই ব্যাপারে কোহলির চেয়ে অনেকটাই
পাশাপাশি চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদবকে যেভাবে ফর্মে থাকা অবস্থায় দিনের পর দিন না খেলিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে দিয়েছেন, তা নিয়েও অনেকে বিরক্ত।
আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রোহিত শর্মা যাতে সহ অধিনায়ক না থাকতে পারেন, সে জন্য এক নির্বাচকের কাছে দরবার পর্যন্ত করেছিলেন কোহলি। তাঁর নাকি যুক্তি ছিল, ৩৪ বছরের রোহিতকে সহ অধিনায়ক না করে তরুণদের সুযোগ দেওয়া হোক। কে এল রাহুলদের মতো কাউকে দেওয়া হোক। শোনা যাচ্ছে, বোর্ড এই বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি। ঠিক যেমন অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩৬ অল আউটের লজ্জার পরেও বিরাটের পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফিরে আসা অনেকের চোখেই দৃষ্টিকটূ লেগেছে। সব কিছুর মিলিত প্রতিক্রিয়া হিসাবেই সীমিত ওভারের অধিনায়ক হিসাবে জোরালভাবে উঠে আসছে রোহিত শর্মার নাম।