Accenture: ১৯ হাজার ছাঁটাই ঘোষণার পর নতুন কর্মীদের নিয়োগেও বিলম্ব, আতঙ্ক ধরাচ্ছে অ্যাকসেঞ্চার সংস্থা
Layoffs: গত বছরের শেষভাগ থেকে শুরু হওয়া কর্মী ছাঁটাইয়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব প্রযুক্তির দুনিয়ায়।
Accenture: কিছুদিন আগেই কর্মী ছাঁটাইয়ের (Layoffs) কথা ঘোষণা করেছে অ্যাকসেঞ্চার (Accenture) সংস্থা। একধাক্কায় ১৯ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছে এই তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা। এবার শোনা গিয়েছে, নতুন কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টিও পিছিয়ে দেবে অ্যাকসেঞ্চার কর্তৃপক্ষ। প্রায় একবছর পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে নতুন কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। আপাতত কোম্পানির ব্যবসার জন্য নতুন কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন নেই। সেই কারণেই নতুন নিয়োগের ব্যাপারটি পিছিয়ে দিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গিয়েছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের এই বাজারে অ্যাকসেঞ্চারে নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ার খবরে হতাশ অনেকেই। যাঁরা ইতিমধ্যেই জানেন যে অ্যাকসেঞ্চারে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা আদৌ সংস্থায় যুক্ত হতে পারবেন কিনা, হলেও কবে হবেন, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। সম্প্রতি যাঁরা স্নাতক পাশ করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়োগের দিন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোম্পানির প্রয়োজনের নিরিখে। ইমেলের মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র।
মার্চ মাসে প্রকাশ্যে এসেছিল আতঙ্ক ধরানোর মতো একটি পরিসংখ্যান
গত বছরের শেষভাগ থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাইয়ের (Employee Layoffs) পর্ব। চলতি বছরেও চালু রয়েছে কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া। এবছরের শুরুতে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল প্রায় ১৮ হাজার কর্মী চাকরি হারাবেন। এরপরই গুগল সংস্থা প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছিল। এখানেই শেষ নয়। অ্যামাজনে দ্বিতীয় দফার ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৯০০০ কর্মী চাকরি হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে মেটা সংস্থায়। প্রথম পর্যায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ১১ হাজার কর্মী। দ্বিতীয় দফায় প্রায় ১০ হাজার কর্মীর চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এর মধ্যে জানা গিয়েছে, মেটা, অ্যামাজন এবং অ্যাকসেঞ্চার- এই তিনটি সংস্থা শুধুমাত্র মার্চ মাসেই ৩৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এই দলে রয়েছেন অনেক ভারতীয় কর্মীও। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ার একাধিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীরা জানিয়েছেন, আগে থেকে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। আচমকা ছাঁটাই করা হয়েছে। এমনকি ছুটিতে থাকাকালীন, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার সময়েও অনেকের চাকরি খোয়া গিয়েছে। অথচ ওই অনুমোদন প্রাপ্ত ছুটির সময়ের জন্য টাকা পাচ্ছেন না কর্মীরা। ২০২৩ সালে আরও কর্মী ছাঁটার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের শেষভাগ থেকে শুরু হওয়া কর্মী ছাঁটাইয়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব প্রযুক্তির দুনিয়ায়।
আরও পড়ুন- একবার চার্জ দিলে চলবে প্রায় ১০ দিন, ভারতে হাজির নতুন স্মার্টওয়াচ