Airtel 5G আরেকটি মাইলফলক অর্জন এয়ারটেলের, ৫জি নির্ভর ক্লাউড গেমিংয়ের প্রথম সেশন সফল
এবার হাই-এন্ড কনসোলের মতো গেমিং অভিজ্ঞতা মিলবে স্মার্টফোনেই, সফল এয়ারটেলের ক্লাউড গেমিং সেশন...
নয়াদিল্লি: গেমিং ভবিষ্যতের বড় জিনিসটি অবশ্যই একটি শক্তিশালী প্রসেসর, একটি গ্রাফিক্স কার্ড বা একটি সর্বাধুনিক কনসোল নয়।
এয়ারটেল ৫জি টেস্ট নেটওয়ার্কে ভারতের প্রথম ক্লাউড গেমিং ইভেন্টে অংশ নেওয়া দেশের দুই শীর্ষ গেমার - মাম্বা (সলমন আহমদ) এবং মর্টাল (নমন মাথুর) অভিজ্ঞতা বলছে, গেমিংয়ের ভবিষ্যৎ দৃঢ়ভাবে রয়েছে ক্লাউডে।
এয়ারটেল এই ধরনের প্রথম ডেমো মানেসারে আয়োজন করেছিল এবং এটা বলা যেতেই পারে যে এই অভিজ্ঞতা গেমারদের দারুণভাবে আকর্ষিত করেছে।
নিজ নিজ স্মার্টফোনের সঙ্গে ৩৫০০ মেগাহার্ৎজ উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্পেকট্রাম ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উভয় গেমারই ১ গিগাবাইটের বেশি গতি এবং ১০ মিলিসেকেন্ডের বিলম্বের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।
তাঁরা মিড-সেগমেন্ট স্মার্টফোনও ব্যবহার করেছেন, যা প্রমাণ করে যে ৫জি কানেকশন সহিত বাজেট স্মার্টফোনে যে কোনও ব্যক্তি পারফরম্যান্সের সঙ্গে কোনওপ্রকার আপোশ না করে এবং বিলম্ব না করেও উচ্চমানের গেমিং উপভোগ করতে পারেন।
তাঁরা বলেন, "স্মার্টফোনে একটি উচ্চমানের কম্পিউটার এবং কনসোল মানের গেমিং অভিজ্ঞতা হল।" দুজনেই জানান যে, ৫জি সংযোগের সম্ভাবনা ভারতে অনলাইন গেমিংকে উন্মুক্ত করতে পারে।
তাঁদের মতে, এটি ছোট শহর থেকে অনেক প্রতিভাবান গেমারকে এই রাস্তার মাধ্যমে মূলধারায় নিয়ে আসতে পারে। পাশাপাসি, ৫জি ভারতে গেমিংকে সম্পূর্ণ নতুন স্তরে নিয়ে যেতে পারে এবং ভারতে গেম তৈরি এবং প্রকাশের সুযোগ প্রদান করতে পারে।
গেম ডেভেলপারদের জন্য নতুন পথ উন্মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি গেমাররা অবশেষে একে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করার জন্য স্বীকৃতি পাবে। সঠিক গেমিং পরিকাঠামোর সাহায্যে ভারত অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে যেখানে গেমিংকে আসল খেলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
সামগ্রিক গেমিংয়ে কীভাবে পরিবর্তন আনতে পারে ক্লাউড গেমিং?
বর্তমানে গেমিং সাধারণত ডিভাইসের হার্ডওয়্যারের উপর নির্ভরশীল। যেমন - প্রসেসর, ডিসপ্লে, গ্রাফিক্স, র্যাম ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি বিশেষ গেম খেলতে চান, তাহলে আপনার ফোনটি তা খেলার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
ফোন যত বেশি শক্তিশালী, তার দাম তত বেশি। এই সবই সত্যিই উচ্চমানের গেমিংকে সীমিত দর্শকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে যাঁরা ব্যয়বহুল হার্ডওয়্যারে বিনিয়োগ করতে পারেন। যাই হোক, এখন তাঁদের সকলের মাথায় ক্লাউড গেমিংয়ের বিষয়টি ঘোরাফেরা করছে।
এটি সত্যিই গেমিংকে একটি স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা করে তোলে। সুতরাং আপনি যেমন আপনার ডিভাইসে একটি ভিডিও স্ট্রিম করেন, অর্থাৎ, ভিডিওটি ডাউনলোড না করেই চালাতে পারেন। তেমনভাবেই আপনি ডাউনলোড না করেও আপনার ফোনে একটি সম্পূর্ণ গেম খেলতে পারেন। গেমটি ক্লাউডের একটি সার্ভারে চলবে।
আপনাকে যা করতে হবে তা হল ক্লাউডের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া, আপনার গেমটি নির্বাচন করুন এবং খেলা শুরু করুন। শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং একটি অতি দ্রুত সংযোগের সঙ্গে - যেমন এয়ারটেল ৫জি।
যে কেউ তাঁদের নখদর্পণে হাজার হাজার গেম অ্যাক্সেস করতে পারেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ, একটি সিনেমা বা টিভি শো স্ট্রিম করার পরিবর্ত আপনি যদি কেবল সামগ্রী দেখেন, সেই জায়গায় এখানে আপনি গেমের সঙ্গে ইন্টার্যাক্ট করতে পারবেন-- যেমন কমান্ড দেওয়া, অন্যান্য গেমারদের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি। এখানে যদি আপনার হাইপার-ফাস্ট এবং আল্ট্রা-লো লেটেন্সি ৫জি টেস্ট নেটওয়ার্ক থাকে, তাহলে অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ হবে।
ভারতী এয়ারটেলের মুখ্য কারিগরি আধিকারিক (সিটিও) রণদীপ সেখোঁ বলেন, "৫জি-র উচ্চগতি এবং কম বিলম্বের সমন্বয়ের সবচেয়ে বড় ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুক্ত হবে ক্লাউড গেমিং।
ক্লাউড গেমিং একটি হবে ৫জি-র উচ্চ গতির এবং কম বিলম্বের সমন্বয়ে যেহেতু আমরা এই 5G গেমিং সেশনটি পরিচালনা করি। দেশের প্রথম ৫জি নেটওয়ার্ক ডেমো দেওয়ার পর এখন ৫জি গেমিংয়ের সফল পরিচালনা করতে পেরে রোমাঞ্চিত এয়ারটেল।
পৃথিবীর অন্য প্রান্তে বসে থাকা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে চলতে চলতে রিয়েল-টাইম গেম উপভোগ করছেন, এমন কল্পনা করুন। এটি একটি রোমাঞ্চকর ডিজিটাল ভবিষ্যতের সূচনা যা এয়ারটেল তার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসছে, কারণ ভারতে ৫জি চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এয়ারটেল।
এয়ারটেলের ৫জি ক্লাউড গেমিং ইভেন্টটি এই বছরের শুরুর দিকে হায়দরাবাদে সংস্থা দ্বারা আয়োজিত আরেকটি সফল লাইভ প্রদর্শনের পরে এল।
সেখানে ৪জি নেটওয়ার্কে ৫জি পরিষেবা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এয়ারটেল সম্প্রতি নোকিয়া এবং এরিকসনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে ৫জি ট্রায়াল পরিচালনা করার জন্য।
ভারতের প্রথম সারির মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসাবে এয়ারটেল একটি বৃহৎ পরিসরে ৫জি পরীক্ষা করছে, যা দেশে তার সহজে আগমনের পথ সুগম করছে এবং সংযোগের একটি সম্পূর্ণ নতুন জগতের ভিত্তি স্থাপন করছে।
*এই প্রতিবেদনটি এয়ারটেলের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে।