NASA: আয়তনে আস্ত বিমানের সমান, সেকেন্ডে ৭.৯৩ কিমি বেগে ছুটছে, আজ পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে প্রকাণ্ড গ্রহাণু
Airplane-Sized Asteroid: নাসা জানিয়েছে, NEO 2022 QP3 গ্রহাণুটি আয়তনে ১০০ ফুট চওড়া। রবিবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসবে সেটি।
নয়াদিল্লি: পৃথিবীর চারপাশে মহাজাগতিক কর্মকাণ্ড বিগত কয়েক বছর ধরে লাগাতার বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তা নিয়ে বার বার সতর্ক করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা (NASA)। তাতে নয়া সংযোজন তীব্র গতিতে ধাবমান NEO 2022 QP3 গ্রহাণুর (Airplane-Sized Asteroid)। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (National Aeronautics and Space Administration) জানিয়েছে, বড় ধরনের বিমানের আয়তনের ওই গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে। ২৮ অগাস্ট, অর্থাৎ রবিবার পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে ওই গ্রহাণু।
তীব্র গতিতে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে গ্রহাণু
মহাকাশে গ্রহাণুর গতিবিধির উপর নজর চালানো নাসার সেন্টার ফর নিও স্টাডিজ জানিয়েছে, রবিবার ভারতীয় সময় ভোর ৩টে বেজে ২৫ মিনিটে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে ওই NEO 2022 QP3 গ্রহাণুটি।
নাসা জানিয়েছে, NEO 2022 QP3 গ্রহাণুটি আয়তনে ১০০ ফুট চওড়া। রবিবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসবে সেটি। সেই সময় পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব থাকবে ৫৫.১ লক্ষ কিলোমিটার। পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব। সেই তুলনায় সবচেয়ে কাছাকাছি চলে এলেও, NEO 2022 QP3 গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব চাঁদের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১৯ গুণ বেশি।
কিন্তু গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ৭.৯৩ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে। ঘণ্টার হিসেবে ধরলে, গ্রহাণুটি প্রতি ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে। শব্দের চেয়ে তার গতিবেগ ২৩ গুণ বেশি। সেটিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেও চিহ্নিত করেছে আমেরিকার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিস। তাই বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
আয়তন এবং গতিবেগের নিরিখে গ্রহাণুকে ঘিরে অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিজ্ঞানীরা
গ্রাহণু বলতে বোঝায় মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো বৃহদাকার প্রস্তরখণ্ডকে। এই গ্রহাণুও সূর্যকে পরিক্রমা করে। কিন্তু বিভিন্ন গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির চানে কখনও কখনও সেগুলির যাত্রাপথ বদল হয়। এমনকি গ্রহ থেকে শুরু করে মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে টক্করও লাগে।
গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষের পরিণতির উদাহরণ স্বরূপ ডাইনোসরের বিলুপ্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, সাড়ে ছ’কোটি বছর আগে গ্রহাণু আছড়ে পড়ে। গোটা পৃথিবী ঢেকে গিয়েছিল ধোঁয়া, ছাই এবং লাভায়। তাতেই বিলুপ্তি ঘটে ডাইনোসরের।