Smartwatch Under 2500: কব্জিতে বাঁধা স্মার্টনেস! পকেট বাঁচিয়েই মিলবে স্মার্টওয়াচ
Smartwatch Feature: স্মার্টওয়াচ মানেই বিপুল টাকা দাম এমন নয়। পকেট বাঁচিয়েই কিনে ফেলা যায় এমন কিছু স্মার্ট ওয়াচ যার দাম দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্য়ে। সবকটিই পাবেন অনলাইনে।
কলকাতা: সময়ের সঙ্গে ঘড়িও আধুনিক হয়েছে। বেড়েছে ফিচার। ঘড়ি এখন শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস নয়, স্টাইল স্টেটমেন্টও বটে। ইদানিং রমরমা বেড়েছে স্মার্টওয়াচের। কিন্তু স্মার্টওয়াচ মানেই বিপুল টাকা দাম এমন নয়। পকেট বাঁচিয়েই কিনে ফেলা যায় এমন কিছু স্মার্ট ওয়াচ যার দাম দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্য়ে। সবকটিই পাবেন অনলাইনে। সেগুলো কী কী? একবার চটপট দেখে নেওয়া যাক।
ফায়ার বোল্ট নিনজা ২ (Fire Boltt Ninja 2)
পুরোপুরি টাচ ডিসপ্লে রয়েছে এটিতে। রয়েছে Spo2 মনিটর সিস্টেম, হার্ট রেট ট্র্যাক করার সুবিধা। ঘাম ও জল থেকে বাঁচানোর বিশেষ ব্যবস্থাো রয়েছে। সাত দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকার দাবি রয়েছে সংস্থার তরফে। অ্যাপের মাধ্যমে ফোনের গান ও ক্যামেরা অপশন কন্ট্রোল করা যাবে এই স্মার্টওয়াচ থেকে।
জিয়োনি স্টাইলফিট জিএসডব্লিউ ৫ (Gionee STYLFIT GSW5)
এই ব্র্যান্ড সস্তায় স্মার্টওয়াচ তৈরির জন্য পরিচিত। এই মডেলে রয়েছে হার্ট রেট মনিটর, ব্লাড অক্সিজেন মনিটর। রয়েছে ক্যালোরি মিটারও। ঘুমের পরিমাণ বোঝার জন্য রয়েছে Sleep Monitor. জল থেকে বাঁচানোর জন্য রয়েছে IP68 রেটিং। জিমের সময় কবজিতে এমন স্মার্টওয়াচ থাকলে স্টাইল ও কাজ-দুটোই একসঙ্গে হবে।
নয়েস কালারফিট পালস (Noise Colorfit Pulse)
ভারতে সস্তার স্মার্টওয়াচের বাজারে অন্য়তম পছন্দের ব্র্যান্ড নয়েস (Noise)। ২ হাজার টাকার মধ্যে Noise Colorfit Pulse-অন্যতম ভাল স্মার্টওয়াচ। এতে রয়েছে ১.৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের ফুল টাচ ডিসপ্লে। যাবতীয় শারীরিক পরিশ্রমের কত ক্য়ালোরি খরচ হল তা সহজেই ধরতে পারে এই স্মার্টওয়াচ। রয়েছে স্লিপ মনিটর, হার্ট রেট মনিটর। দশ দিনের ব্য়াটারি ব্যাকআপের পাশাপাশি ঘড়ির ডায়ালও (Watch Face) ইচ্ছেমতো বদলানো যায়।
পোর্টোনিকস ক্রোনোস (Portonics Kronos X2)
অপশনে রাখতে পারেন এই ঘড়িটিও। ১.৩ ইঞ্চির স্ক্রিন রয়েছে এতে। হার্ট রেট মনিটর রয়েছে। ব্লাড অক্সিজেন মনিটর রয়েছে এই মডেলে। একাধিক স্পোর্টস মোড রয়েছে। অ্য়াপের মাধ্যমে ফোনের সঙ্গে জুড়ে ফেলা যায় ঘড়িটি। মেসেজ, নোটিফিকেশন সব কিছুই মিলবে ফোনে।
গিজমোর গিজফিট (Gizmore Gizfit)
একাধিক ফিচার রয়েছে এই স্মার্টওয়াচ মডেলে। হার্টরেট মনিটর, ব্লাড অক্সিজেন মনিটর, ক্যালোরি ট্র্যাকারের মতো সুবিধা রয়েছে। ব্য়াটারি ব্য়াকআপ বেশ ভাল। IP67 ওয়াটারপ্রুফ সিস্টেম থাকায় জলে ব্যবহার করা যায় এই ঘড়ি। ফুল কালার ডিসপ্লে রয়েছে এই মডেলে।
সোনাটা স্ট্রাইড হাইব্রিড (Sonata Stride Hybrid)
স্মার্টওয়াচ কিন্তু পুরনো অ্যানালগের মতোই দেখতে। যাঁদের পুরনো ঘড়ির লুক ভাল লাগে কিন্তু স্মার্টওয়াচের ফিচারও চাই। তারা এটিকে অপশনে রাখতে পারেন। সাধারণত ঘড়ির মতোই ব্য়াটারি। অন্তত এক বছরের ব্যাকঅ্য়াপ মিলবে। মোবাইলের সঙ্গে জোড়া যাবে এটিকে। হাঁটার তথ্য, স্লিপ অ্য়ালার্ট, কল অ্যালার্ট-সবকিছুই মিলবে এখানে।
বোট ওয়াচ ফ্ল্যাশ এডিশন (boAt Watch Flash Edition)
স্মার্টওয়াচের জন্য অন্যতম পছন্দের ব্র্যান্ড এটি। দু হাজারের নীচে স্মার্টওয়াচের জন্য দেখা যেতে পারে এই মডেলকে। একানে রয়েছে অ্য়াক্টিভিটি ট্র্যাকার, gesture control, স্লিপ মনিটর, IP68-যার মাধ্যমে জল, ঘাম ও ধুলো থেকে রেহাই মিলবে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে ফোনের সঙ্গে ব্লুটুথে জুড়ে ফেলা যাবে ঘড়িটি। ফোনের ক্যামেরা ও মিউজিক কন্ট্রোলেরও অপশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যাপল আইপ্যাডে প্রথমবার ৩১ শতাংশ ছাড়, ৩ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক