Twitter: জনপ্রিয়তা কমছে ট্যুইটারের ব্লু-টিক সাবস্ক্রিপশনের? ব্যাপক হারে পরিষেবা বাতিল করছেন ইউজাররা
Twitter Blue Tick Subscription: দেড় লক্ষ ইউজারের মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি ইউজার এর মধ্যেই নিজেদের ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন বাতিল করেছেন।
Twitter: গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের শেষদিকে ট্যুইটারের (Twitter) দায়িত্ব নিয়েছিলেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। তারপর থেকেই একাধিক পরিবর্তন এসেছে ট্যুইটারে। ফিচারের নিরিখে অন্যতম পরিবর্তন হল ব্লু-টিক সাবস্ক্রিপশন (Blue Tick Subscription)। অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে যেকোনও ইউজার ট্যুইটারের ব্লু টিক কেনার সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যেই বিশ্বে এই ফিচার চালু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রায় দেড় লক্ষ ইউজার টাকা খরচ করে জনপ্রিয় এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে ব্লু টিক কিনেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অন্য একটি তথ্য। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, এই দেড় লক্ষ ইউজারের মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি ইউজার এর মধ্যেই নিজেদের ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন বাতিল করেছেন। এই পরিষেবা চালু হওয়ার পরে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে ট্যুইটারে ব্লু-টিক সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৬৮,১৫৭ জন। প্রায় ৬ মাস ধরে চালু রয়েছে ট্যুইটারের ব্লু-টিক সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস। শতাংশের নিরিখে ৫৪.৫ শতাংশ ইউজার নিজেদের ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন বাতিল করেছেন, ইউজারের সংখ্যা ৮১,৮৪৩ জন।
বর্তমানে ট্যুইটারে টাকা না দিলে ব্লু টিক পাওয়া যাবে না। কিছুদিন আগেই আচমকা বিখ্যাত ব্যক্তিদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক উধাও হয়েছিল। তবে পরে টাকা দেওয়ায় সেই ব্লু টিক আবার ফিরেও এসেছে। অর্থাৎ তাঁরা সাবস্ক্রিপশন নিয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো এই নতুন তথ্য। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, ট্যুইটারের ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশনের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, হয়তো ইউজারের যে পরিমাণ টাকা দিচ্ছেন, সেই অনুপাতে পরিষেবা পাচ্ছেন না, আর তার জেরেই ব্যাপক হারে ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন বাতিল করছেন ইউজাররা।
ট্যুইটারের মালিক হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন এলন মাস্ক। প্রথমেই একধাক্কায় ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছেন তিনি। তার জেরেই পড়েছিলেন ব্যাপক সমালোচনার মুখে। সম্প্রতি ট্যুইটারের আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই একাধিক কাটছাঁট করেছেন তিনি। মুহূর্তের মধ্য়ে বদলে ফেলেছেন যাবতীয় নীতি-নিয়ম (Twitter Parental Leave)। অভিযোগ, এ বার ট্যুইটার কর্মীদের জন্য সন্তান জন্মের পর প্রাপ্ত ছুটির নিয়মেও রদবদল ঘটালেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। সন্তানের জন্মের পর এতদিন ট্যুইটার কর্মীরা ২০ সপ্তাহ, অর্থাৎ ১৪০ দিন মাতৃত্ব অথবা পিতৃত্বকালীন ছুটি পেতেন। তা কমিয়ে ১৪ দিনে নিয়ে এলেন মাস্ক (Twitter)।সংস্থার অন্দর থেকে হাতবদল হওয়া নথি প্রকাশ করে বিষয়টি সামনে এনেছে আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’। আমেরিকার যে সমস্ত প্রদেশে ‘পেইড লিভ’-এর সুবিধা নেই, সেখানকার ট্যুইটার কর্মীরা এই নয়া নিয়মে বিপাকে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ট্যুইটারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন- বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের