YouTube Features: ইউটিউবে এল নতুন ফিচার, দ্বিগুণ আয় হবে এবার ? ক্রিয়েটরদের কী কী সুবিধে ?
YouTube Earning: ইউটিউব তাঁর ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে যে এই ফিচার্সটি বিশ্বজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই ফিচার্সের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

YouTube Earning: দীর্ঘদিন ধরেই ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সারা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ভিডিয়োতে সাবটাইটেল বা আলাদা আলাদা চ্যানেলের কন্টেন্টের (YouTube Earning) উপরে নির্ভর করে চলতেন। কিন্তু এখন থেকে এই প্রতিবন্ধকতা (YouTube Features) দূর হতে চলেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ইউটিউব এখন থেকে চালু করেছে মাল্টি ল্যাঙ্গোয়েজ অডিয়ো ডাবিং ফিচার্স। এর মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা একই ভিডিয়োতে বিভিন্ন ভাষার অডিয়ো ট্র্যাক সংযুক্ত করতে পারবেন।
সমস্ত ক্রিয়েটররা উপকৃত হবেন
ইউটিউব তাঁর ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে যে এই ফিচার্সটি বিশ্বজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই ফিচার্সের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ছিলেন মিস্টার বিস্ট, মার্ক রবার, জেমি অলিভার, নিক ডিজিওভানির মত বড় বড় ক্রিয়েটররাও। একাধিক ভাষায় ভিডিয়ো প্রকাশ করে তারা দেখিয়েছেন যে দর্শকরা কনটেন্ট দেখার জন্য এর মাধ্যমে নতুন ও সহজ বিকল্প পেতে পারেন।
স্বয়ংক্রিয় নয়, ম্যানুয়াল ডাবিং
এই ফিচার্স কখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাবিং করে না, বরং ক্রিয়েটরদের নিজেদেরকেই বিভিন্ন ভাষায় অডিয়ো রেকর্ড করতে হয়। তারপরে ইউটিউবের সাবটাইটেল এডিটর টুল ব্যবহার করে ভিডিয়ো আপলোড করতে হবে। সবথেকে বড় ফিচার্স হল আগে থেকে প্রকাশ করা ভিডিয়োতেও নতুন অডিয়ো ট্র্যাক যোগ করা যেতে পারে এই ফিচার্সের মাধ্যমে। ফলে আলাদা চ্যানেল তৈরি করার প্রয়োজন পড়বে না।
ভিউ ও রিচ কি বাড়বে ?
ইউটিউবের মতে, প্রাথমিক তথ্য থেকে দেখা যায় বহু ভাষার ট্র্যাক ব্যবহারকারী ক্রিয়েটররা লক্ষ্য করেছেন যে তাদের মোট ওয়াচ টাইমের ২৫ শতাংশ এসেছে এমন দর্শকদের থেকে যাদের প্রাথমিক ভাষা ভিডিয়োর ভাষা থেকে আলাদা ছিল। বিখ্যাত ক্রিয়েটর শেফ জেমি অলিভার এই ফিচার্স ব্যবহার করে তাঁর ভিডিয়োর ভিউজ তিন গুণ বাড়িয়ে ফেলেছেন।
লোকালাইজড থাম্বনেল
ইউটিউব এর পাশাপাশি লোকালাইজড থাম্বনেলের ফিচার্সও শুরু করেছে। এর অর্থ হল এখন ভিডিয়োর কভার ফটোটি দর্শকদের ভাষা সেটিংসের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভাষায় দেখানো হবে। এর ফলে আলাদাভাবে ভিডিয়ো আপলোড না করেই ক্রিয়েটররা বৃহত্তর দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
আয় বাড়বে
আগে থার্ড পার্টি ডাবিং ও ট্রান্সলেশন পরিষেবার উপরে নির্ভর করতে হত যাতে সময়ও বেশি লাগত আর খরচও বৃদ্ধি পেত। কিন্তু ইউটিউবের এই সমন্বিত টুলের সাহায্যে প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। আর আগের থেকে আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। ভিডিয়ো যারা নিজেদের ভাষাতে আগে দেখতে পারছিলেন না, তারাও এখন এই মাধ্যমে দেখতে পাবেন যে কোনও অন্য ভাষার ভিডিয়ো।






















