Kali Puja 2025: স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীর আরাধনা শুরু করেছিলেন, ত্রিপুরার ঐতিহ্য কাশেম মিঞার বাড়ির মায়ের পুজো
Tripura Agartala Muslim Family Puja: দেবীকে পুজো করার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন ৩২ বছরের এই যুবক। প্রথম দিকে নিজে নিজেই সবার অন্তরালে দেবীর পুজা শুরু করেছিলেন সেই যুবক।

প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা: মায়ের আরাধনা চলছে চারিদিকে। ত্রিপুরার আগরতলার খয়েরপুরে মুসলিম বাড়িতেও নিত্য আরাধনা করা হয় ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর। তবে এখানে পুজোর এক ইতিহাস রয়েছে। খুব বেশিদিনের যদিও নয়। বছর ১৫ আগে কাশেম মিঞা নামে এক যুবক স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। দেবীকে পুজো করার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন ৩২ বছরের এই যুবক। প্রথম দিকে নিজে নিজেই সবার অন্তরালে দেবীর পুজা শুরু করেছিলেন সেই যুবক। কিন্তু লোকমুখে এই খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে দিনে দিনে। আর এই পুজো নিয়ে আগ্রহও বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে।
সূত্রের মারফৎ জানা গিয়েছে, অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া, চাকরি পাওয়া থেকে শুরু করে কাশেম মিঞার বাড়িতে এই পুজোয় যে মনস্কামনা নিয়ে আসেন, তাঁরই না কি মনোবাসনা পূরণ হয়ে থাকে। এই পুজোর পরিধি গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। দীপাবলির দিন শুধু আগরতলা নয় অন্যান্য জেলা থেকেও পূণ্যার্থীরা ভীড় করেন। এলাকার সবাই এখন সেই পূজার আয়োজন করেন হাতে হাত মিলিয়ে।
বীরভূমের ঐতিহ্যশালী পুজো লাভপুরের দোনাইপুরের মা কালি পুজো
বীরভূমের ঐতিহ্যপূর্ণ কালী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল লাভপুরের দোনাইপুরের মা কালী। এই পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানে একটি মন্দিরের মধ্যে তিনটি কালীমূর্তিকে পুজো করা হয়। এর মধ্যে বড়মার উচ্চতা ২৬ ফুট। জনশ্রুতি আছে প্রায় আড়াইশ বছর আগে লাভপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পদাধিকারী জমিদার এই গ্রামে মা কালীর পুজো শুরু করেন। কিন্তু কোনোও এক অজানা কারণে তাঁরা এই পুজোর ভার দিয়ে দেন দোনাইপুরের পাঠকদের। পাঠক বংশের ত্রৈলক্যনাথ পাঠক এক জন তান্ত্রিক ছিলেন। তিনি স্বপ্নাদেশে এই মন্দিরে 'ট্যাবা কালী' প্রতিষ্ঠা করেন। এই ট্যাবা কালীর মাহাত্ম্য ছিল, শিশুদের ট্যাবা রোগ হলে এই মা কালীর দেওয়া কবজ ধারণ করলে ট্যাবা রোগ সেরে যায়। (সেই সময়ে টিবি বা যক্ষ্মাকে চলতি কথায় ট্যাবা রোগ বলা হত)। এই বিশ্বাসে প্রতি শনিবার মঙ্গলবার এবং অমাবস্যায় প্রচুর ভক্তের ভিড় হয়। ত্রৈলক্যনাথ নিঃসন্তান ছিলেন। তার অবর্তমানে গ্রামের চক্রবর্তী পরিবার মায়ের পুজো করে আসেছে।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের পুজোয় রেকর্ড ভিড়
সোমবার কালীপুজোর দিন সকাল থেকেই পুরুলিয়া জেলার অতি প্রাচীন তথা রাজ্যের অন্যতম রঘুনাথপুর ২নম্বর ব্লকের মৌতড়ের জাগ্রত মা বড়কালীর পুজোতে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে উপচে পড়ল দর্শনার্থীদের ভিড়।এদিন সকালে থেকে মৌতড়ের মা বড়কালীর মন্দিরে ভিন রাজ্য ঝাড়খণ্ড বিহার সহ একাধিক রাজ্যের দর্শনার্থীরা মায়ের মন্দিরের অদূরে পুকুরে স্নান করে দন্ডি দিয়ে পুজো দেন। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগমকে সামাল দিতে এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়।























