৭টায় বাংলা (১): ২০ জুন 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালন রাজ্য বিজেপির
'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালন বিজেপির। রাজ্য দফতরের সামনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার দক্ষিণ গেটে ৫৪ জন বিধায়কের প্রতিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। এই ৫৪ জন বিধায়কই ১৯৪৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ পঠনের পক্ষে মত দেন। বিজেপির দাবি বারবার বলা সত্ত্বেও দিনটিকে ছুটি ঘোষণা করছে না রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রবিবার ট্যুইট করেন দিলীপ ঘোষ সব রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, "বিহার দিবস, ওড়িশা দিবস পালন হলে কেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হবে না? এর আগে শাসক অথবা বিরোধী দল কেউ এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেনি কারণ এটা করতে গেলেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সহ জনসঙ্ঘের নাম আসবে। তাঁদের রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে বলে তারা এই কাজ করেন নি।"
পাল্টা সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, আজকের দিনটি পশ্চিমবঙ্গ দিবস নয়, বঙ্গভঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করা উচিত। কারণ আজকের দিনে বেঙ্গল অ্যাসেম্বলিতে বাংলা বিভাজনের রেসলিউশন নেওয়া হয়েছিল। ওরা আসলে বাংলা ভাগ করার উৎসব পালন করছে। শ্যামাপ্রসাদকে পশ্চিমবঙ্গের জনক বলার থেকে ঐতিহাসিক মিথ্যে আর কিছু হতে পারে না।
বিজেপি সাংসদ জন বার্লার উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য তৈরির বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সাংসদ যা বলেছেন তা তার ব্যক্তিগত মত। রাজ্য বিজেপি বাংলা ভাগ সমর্থন করে না। জন বার্লাকে এখনও শো কজ করা হয়নি।"
ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন রাজ্য সরকারের। ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত ১৮ জুন এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার দাবিতেই বৃহত্তর বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য।
জল্পনার অবসান। তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল রায়-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তপন সিন্হা। গতকাল গোবরডাঙা টাউনহলে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেন তিনি। মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের দিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তপন সিন্হা। বিজেপিতে কাজ করতে পারছেন না বলে জানানোয় তাঁকে ঘিরে দলবদলের জল্পনা শুরু হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলিপুরদুয়ার বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। এবিপি আনন্দকে গঙ্গাপ্রসাদ জানান, "আমার সঙ্গে জেলার ছয় জন জেলা পদাধিকারী তৃণমূলে যোগ দেবেন।" পাল্টা দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, "আমিও শুনেছি, কিন্তু কিছু দেখছি না। হতে পারে অনেকে চাপে পড়ে যাচ্ছে। দুই-একজন যেতেও পারেন। আমরা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কথা বলছি।" ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, "তৃণমূল কংগ্রেস একটি সর্বভারতীয় দল। এই দলে যোগদানের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কাকে দলে নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত নেও সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাব। আগেও বহুবার জানানো হয়েছে যে ভবিষ্যতে আমাদের রাজ্য থেকে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে।"