৭টায় বাংলা (২): প্লাবিত উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, চোখের সামনে তলিয়ে গেল বাঁশের সাঁকো
ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবিত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বেশ কিছু এলাকা। দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। দামোদরের বাঁধ উপছে ভোররাত থেকে জল ঢুকতে শুরু করেছে হরিহরপুর, মুচিপাড়া-সহ একাধিক গ্রামে। তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি, আমতায় রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে কুলিয়াঘাটের বাঁশের সেতু। ফলে আমতার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ভাটোরা দ্বীপ। উদয়নারায়ণপুরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় গতকাল বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন।
মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে কত পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে? দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেই বা জল ছাড়ার পরিমাণ কত? সেই তথ্য আগাম পেতে চালু হচ্ছে স্কাডা সেন্টার। সেচ দফতরের আশা সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসেই কাজ শুরু করবে স্কাডা যন্ত্র। এতে মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে দাবি আধিকারিকদের। এই জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ হবে। দুর্গাপুর ব্যারাজে বসানো এই স্কাডা যন্ত্রগুলি নিয়ন্ত্রণ হবে স্কাডা সেন্টার থেকে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, মাইথন বা পাঞ্চেত থেকে কত জল ছাড়া হচ্ছে সেই পরিমাণ স্কাডার মাধ্যমে আগাম জানা যাবে। এছাড়া আপার ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় কত জল রয়েছে তার হিসাব মিলবে।