আনন্দ সকাল (Seg 3): গঙ্গাসাগর নিয়ে রেলের সঙ্গে বৈঠক হবে, জানালেন মুখ্যসচিব | Bangla News
৭ দিনে রাজ্যে প্রায় সাড়ে ১০ গুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। মকর সংক্রান্তির দিনই সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। গঙ্গাসাগরে আসা ৯০ শতাংশ পুণ্যার্থীই আসেন লোকাল ট্রেনে (Local Train)। এবিষয়ে রেলের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এদিকে, করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) শহরে কল্পতরু মেলা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে মেলার আয়োজন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। শুধুমাত্র টাকা রোজগারের জন্যই এমন কাজ বলে দাবি করেছে তারা। তবে বিরোধীদের সব অভিযোগই নস্যাৎ করেছে মেলা কমিটি।
পাশাপাশি, ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ ও সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে আজ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কোভিড বাড়েনি। তখন মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে কোভিড বাড়ছিল। অথচ নির্বাচন এখানে চলছিল। তখন চেঁচামেচি হচ্ছিল যে নির্বাচন বন্ধ করে দাও। তৃণমূল (TMC) তখন ভেবেছিল হেরে যাবে। এখানে পুরভোট একসঙ্গে করতে পারছে না সরকার। তাই ভোট লুঠের জন্য এক একটি পুরসভার ভোট আলাদা আলাদা করে করছে। একসঙ্গে ভোট হয়ে গেলেই এই চিন্তা থাকত না। সরকার চায় না নির্বাচন হোক। তবে এই হারে করোনা বাড়লে, নির্বাচন বন্ধ করা উচিত।
অন্যদিকে, আজ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সন্ধে ৭টার পর চলবে না লোকাল ট্রেন (Local Train)। করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্ত দেখেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। অফিস টাইমে নিউ ব্যারাকপুরে (New Barrackpore) রাজ্যের লাগু করা নিয়ন্ত্রণবিধি না মানার ছবি স্পষ্ট। এক যাত্রী জানান, "নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হবে? একসঙ্গে চারজন বসেছি।" নিত্যযাত্রীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে যে এই বিধি কি আদৌ মেনে চলা সম্ভব? রেলের নিরাপত্তারক্ষীদের তরফেও কোনও নজরদারি চোখে পড়েনি।