এক ডজন গল্প: ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় চলছে মাইকে লাগাতার প্রচার
ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকায় চলছে মাইকে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। আজ দিনভর রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও ও সচিবরা। অন্যদিকে 'ইয়াস' মোকাবিলায় কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে রাজ্য সরকারের। সেই বৈঠকে রাজ্যের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেকে কম প্রাণহানির লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এমনটাই জানাল আবহাওয়া দফতর। ২৩ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। ২৬ তারিখ থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। ২৫ তারিখ ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে হাওয়া। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ২৪ তারিখের আগে নিম্নচাপ চেহারা নেবে সাইক্লোনের। ২৪ তারিখের পর ঝড় চেহারা নেবে সিভিয়ার সাইক্লোনের। যদিও, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে আমফানের থেকে কম শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে 'ইয়াস' এর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৭ তারিখ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। কাল সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে সোমবার তা পরিণত হতে হবে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তার জেরে সোমবার সন্ধের পর থেকেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৪০-৫০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার সেই ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি। ক্রমশ বাড়তে থাকবে হাওয়ার বেগ। মঙ্গলবার থেকেই দুই রাজ্যের উপকূল এলাকায় শুরু হবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। ধীরে ধীরে বাড়বে বৃষ্টির দাপট। ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে। বুধবার সন্ধেয় উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুই রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়বে ইয়াস। আগাম সতর্কতা হিসেবে ইতিমধ্যেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।