ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন (১৯.০৭.২১) মিসড কলেও পেগাসাসের হানা। সাংবাদিক, মন্ত্রী, বিরোধী নেতা থেকে সমাজকর্মী। হ্যাকিং নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে তোলপাড়। নজরদারির অভিযোগ খারিজ সরকারের।
গ্রিক পুরাণের পেগাসাস। অনেকটা আমাদের রূপকথার ওই পক্ষীরাজের মতোই। আর সেই পক্ষীরাজের খুরের ধাক্কায় ধূলোর ঝড় দেশের রাজনীতিতে। পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware Scandal) দিয়ে নাকি হ্যাক হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের মোবাইল! টার্গেট লিস্টে ছিলেন রাহুল গাঁধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! দ্য ওয়্যারের এই রিপোর্ট সামনে আসার পর তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, এমনকী নিরাপত্তা সংস্থার আধিকারিকেরও ফোন হ্যাক করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসছে। কংগ্রেস বলছে, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি এখন ভারতীয় জাসুস পার্টি, নাগরিকদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করছে সরকার।’ পাল্টা বিজেপি বলছে, পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার এই স্পাইওয়্যার মোবাইলে ঢুকলে, ফোন বন্ধ থাকলেও যাবতীয় কথাবার্তা মাইক্রোফোনের মাধ্যমে রেকর্ড হয়ে যায়! তাই লক্ষ্য করবেন, আমরা, এবিপি আনন্দে, একে ট্যাপিং বলছি না, বলছি হ্যাকিং। দেখেশুনে অনেকে বলছেন, তাহলে কি মোবাইল-বিহীন অতীত জীবনযাপনই ভাল ছিল? সেই আলোচনাতেও আসব, কিন্তু শুরুতেই দেখাব, কাদের নাম উঠে আসছে এই হ্যাকিং বিতর্কে।