Panchayat Election 2023: 'এমন ভোট আগে দেখিনি, বিজেপি থেকে নির্দল, সবাই আক্রান্ত', দাবি শুভেন্দুর
'ভোটপ্রক্রিয়া (Electoral Process) নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে নবান্নর (Nabanna) ১৪ তলা থেকে', তৃণমূল সরকারকে ফের চাঁচাছোলা আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। প্রশ্ন তুললেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। বললেন, ''২০২৩ সালে কমিশনকে (State Election Commission) রাজ্য সরকারের শাখা সংগঠনে পরিণত করা হয়েছে।... এমন ভোট আগে দেখিনি। বিজেপি থেকে নির্দল, সবাই আক্রান্ত।'
গত কাল জাঙ্গিপাড়ার সভায় বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'বিজেপি জানে কেষ্টর মতো গুন্ডাকে কীভাবে সোজা করতে হয়।' তবে এদিন তাঁর আক্রমণের নিশানায় তৃণমূলনেতা নেত্রীদের পাশাপাশি ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। শুভেন্দু বলেন, '২০১৩ সালে পাঁচ দফায় নির্বাচন হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় ভোটের দিনে অনেক রক্তপাত কম হয়েছিল। ২০২৩ সালে কমিশনকে রাজ্য সরকারের শাখা সংগঠনে পরিণত করা হয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে কোনও তথ্যই দিচ্ছে না কমিশন, ওয়েবসাইটে আপডেট করা হচ্ছে না। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা হচ্ছে না।' ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির অভিযোগ ছিল ভুরি ভুরি। তবে এবার মনোনয়ন পর্বের সময় থেকেই বিস্তর হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'সাঁকরাইল থানার আইসি ক্যান্সার আক্রান্ত প্রার্থীকে মারধর করছেন প্রকাশ্যে। কে পুলিশ, কে তৃণমূল, কে লড়ছে, কে লড়াচ্ছে, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।' নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী, সিসিটিভির নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু 'মানুষের করের টাকা খরচ করে ভোট লুঠের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল', মত তাঁর। যদিও এত কিছুর পরও বিজেপি আইনি-পথ-বুথ-গণনাকেন্দ্রের লড়াই ছাড়বে না, জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।
বিরোধী দলনেতার আশ্বাস, 'চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে আইনি লড়াই চলবে।' তাঁর বিশ্বাস, গেরুয়া শিবিরের চাপেই পঞ্চায়েতের ভোটপ্রচারে নামতে হয়েছে স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে বিজেপির প্রথম প্রতিশ্রুতি, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত। শুভেন্দুর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার দুর্নীতিতে অসাধু চক্রকে হঠানোর প্রতিশ্রুতি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা উপযুক্ত উপভোক্তাদের পাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি', এগুলিই এখন গেরুয়া শিবিরের অগ্রাধিকার। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বার বার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছেন। এদিন আবার উত্তরবঙ্গের জনসভায় তিনি বলেন, 'বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাগান খোলার, কিন্তু ওরা করেনি। তৃণমূল করেছে।' সঙ্গে আশ্বাস, 'চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য আমরা ঘর বানিয়ে দেব। চা-বাগানের শ্রমিকদের আমরা চা-বাগানের পাট্টা দেব, কাজ শুরু হয়ে গেছে।' প্রতিশ্রুতি-পাল্টা প্রতিশ্রুতির টানাপড়েনে কার উপর ভরসা রাখবেন বাংলার মানুষ? জানতে আর মাত্র কয়েকটা দিন।