Cyber Scam: স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৩০ লক্ষ পাঠাতে চেয়েছিলেন, জালিয়াতির হাত থেকে বৃদ্ধকে বাঁচালেন SBI কর্মী
Digital Scam: হায়দরাবাদের সেই ব্যাঙ্ক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে জনৈক প্রবীণ নাগরিক ব্যাঙ্কের শাখায় এসেছিলেন এবং শাখার প্রবন্ধক নবীন কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর SCSS অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আবেদন জানান।
Digital Scam: স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখায় নিজের জমানো ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙাতে এসেছিলেন এক ৭৮ বছর বয়সী বৃদ্ধ। আর সেই টাকা ভাঙিয়ে জমা করতে চেয়েছিলেন সেভিংস অ্যাকাউন্টে (SBI Branch) এবং তা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খুব বড় জালিয়াতির (Digital Scam) হাত থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে নেন সেই ব্যাঙ্কেরই এক কর্মী। হায়দরাবাদের লোঠুনকুন্টা শাখার ঘটনা। জালিয়াতদের হাত থেকে সেই প্রবীণের ৩০ লক্ষ টাকা সুরক্ষিত করেন এসবিআইয়ের কর্মী।
বুধবার হায়দরাবাদের সেই ব্যাঙ্ক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে জনৈক প্রবীণ নাগরিক ব্যাঙ্কের শাখায় এসেছিলেন এবং শাখার প্রবন্ধক নবীন কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আবেদন জানান এবং সেই খাতে জমানো ৩০ লক্ষ টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে দিতে বলেন। সেই শাখার প্রবন্ধক লক্ষ্য করেন যে প্রবীণের কাছে বারবার ফোন আসছে যেন খুব দ্রুত টাকাটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে এই টাকাটা প্রয়োজন কারণ তাঁর স্ত্রী ব্রেন হেমারেজের কারণে কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাঁর চিকিৎসা এখনই শুরু করা দরকার।
কিন্তু এখানেই একটু সন্দিহান হয়ে ব্যাঙ্কের প্রবন্ধক সেই ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক বিজনেস অফিসে ফোন করে হাসপাতালে সেই ব্যক্তির স্ত্রী আদৌ ভর্তি আছেন কিনা তা জানার নির্দেশ দেন আর এবারে হাসপাতালে ফোন করতেই জানা যায় যে সেই ব্যক্তির স্ত্রীর নামে সেখানে কোনো রোগী ভর্তি হননি, তাঁর নামে কোনো বেডের বুকিংও নেই। বোঝাই যায় যে তাঁর স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে টাকা লুটের চেষ্টা করছিল জালিয়াতরা। ব্যাঙ্কের প্রবন্ধক এরপরে পুলিশকে খবর দিলে শাখায় এসে উপস্থিত হন পুলিশ। তখন সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন সেই বৃদ্ধ।
প্রবীণ ব্যক্তি পুলিশকে বলেন যে কয়েকদিন আগে দিল্লির কাস্টমস অফিসের একজন পরিচয় দিয়ে তাঁকে বলেছিলেন যে তাঁর নামে মালয়েশিয়া থেকে একটি পার্সেল এসেছে যেখানে একটি এটিএম এবং ১৬টি পাসপোর্ট রয়েছে। আর কিছুক্ষণ পরেই আবার একটি ফোনে একজন নিজেকে দিল্লির অপরাধ দমন শাখার পুলিশের পরিচয় দিয়ে বলেন যে তাঁর আধার কার্ড দিয়ে ৩০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, ৮৮ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ এসেছে তাঁর নামে। আর তাই তাঁকে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে জমানো টাকা তুলে সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে।
আর এই বিপুল ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হতেও বেঁচে গিয়েছেন সেই প্রবীণ নাগরিক। ব্যাঙ্ককর্মীর তত্ত্বাবধানে এই জালিয়াতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন সেই প্রবীণ ব্যক্তি। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ডিজিটাল জালিয়াতির ঘটনা সম্পর্কে জানাতে বা অভিযোগ করতে টোল ফ্রি নম্বর ১৯৩০-এ ফোন করতে হবে। এছাড়া সরকারি পোর্টাল www.cybercrime.gov.in–এ অভিযোগ জানানো যায়।
আরও পড়ুন: Sukanya Samriddhi Yojna: প্রয়োজন হলে আগাম কি তোলা যায় সুকন্যা সমৃদ্ধির টাকা?