Debajan Deb Update: ভুয়ো পরিচয়ে সিরাম ইন্সিটিটিউটে ই-মেল দেবাঞ্জনের
জাল ভ্য়াকসিন দেওয়া, ভুয়ো ইমেল আইডি তৈরি করা, জাল ,সরকারি স্ট্যাম্প বানানো। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই দেবাঞ্জন দেবের একের পর এক কুকীর্তির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। পরতে পরতে প্রতারণার সন্ধান পেতে রীতিমতো তাজ্জব লালবাজারের দুঁদে অফিসাররা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ভুয়ো আইএএস অফিসার স্বীকার করেছেন লোক দেখাতে ও কর্মীদের ভুল বোঝানোর ফন্দি এঁটে ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে কোভিশিল্ড চেয়ে পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষকে ইমেল করেছিলেন তিনি।
স্নাতক স্তরে পড়াকালীনই প্রতারণায় হাত পাকানো শুরু ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে অভিযুক্তে ধৃত দেবাঞ্জনের, প্রতারণার হাত থেকে বাদ যাননি গৃহশিক্ষকও। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেবাঞ্জনের সংস্থার কর্মী-সহ ১০ জনকে তলব। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে কেএমসি, পিডব্লুডি-র প্রচুর জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার। প্রতারণার হাত থেকে বাদ যাননি পারিবারিক বন্ধুও, ভুয়ো ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন দেবাঞ্জনের বোনের বন্ধু ও তাঁর বাবা-মা। শুধু প্রতারক নন। রীতিমতো বদমেজাজি ছিলেন দেবাঞ্জন দেব। দাবি তার সংস্থার কর্মী শুভাশিস দাসের।
টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়াতেও যাতায়াত ছিল দেবাঞ্জনের। গান রেকর্ডিংয়ের সূত্রে যাতায়াত শুরু। স্টুডিওপাড়ায় একটি অ্যাসোসিয়েশনে পদের জন্যও আবেদন করে দেবাঞ্জন। ১০ জানুয়ারি টালিগঞ্জের ক্রিকেট টুর্নামেন্টেও হাজির ছিল সে। সিনে ফেডারেশনের আয়োজিত টুর্নামেন্টে জানানো হয় সংবর্ধনাও। সেখানেও পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দেয় দেবাঞ্জন। দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়েই মাদুরদহের বাড়িতে পুলিশ। কথা পরিবারের সঙ্গে। বাজেয়াপ্ত নথি।