Narada Sting Probe: শোভনকে হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ বৈশাখীর, 'হাসপাতালে ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কে ওই মহিলা?', আক্রমণ কুণালের
হাইকোর্ট রায় দিয়েছে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকার জন্য। গতকাল আমাদের আইনজীবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়েনি। একজন অন্য জনের ঘাড়ে দোষ ঠেলছে।
এসএসকেএম হাসপাতালে জোর করে রেখে দেওয়া হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। গতকাল এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশাখী (Baishakhi Banerjee) বলেন, "আমার মনে হয় শোভনবাবু যদি এখন বলেন উনি পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফিরতে চান তবে এসএসকেএম (SSKM) ও জেল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়ে যাবে। এই চাপ যে প্রভাবশালী পক্ষ থেকেই আসুক না কেন শোভনবাবু কোথাও মাথা নোয়াননি আর নোয়াবেনও না। উনি এত হ্যারাসমেন্ট সহ্য করতে পেরছেন আরও পারবেন। অচেনা লোককে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল সুপারকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ এসে দরজায় লাথি মারছে, কেউ এসে শোভনবাবুর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর হাত মুচকে দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ঘরের মধ্যে হাতাহাতি হলেও কেউ এসে থামাচ্ছে না। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে বসে যাচ্ছে। কেউ মন্ত্রী বলে সে বাড়ি যেতে পারবে ও সাধারণ নাগরিক বলে বাড়ি যাওয়ার অধিকার নেই এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।"
এই নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "এই ঘটনায় রাজ্যসরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই। উনি মামার বাড়িতে নেই, উনি হাসপাতালে আছেন। উনি এতই সুস্থ থাকলে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে অসুস্থতার নাটক করে হাসপাতালে গেলেন কেন। আর গতকাল থেকেই উনি সুস্থ হতে শুরু করলেন? শোভনবাবুকে ছাড়লেও উনি বাড়ি যেতে পারবেন না, ওনাকে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে হবে। আমাদের দিকে অভিযোগ করার আগে ভাবতে হবে, শোভনবাবু রয়েছে একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে। উনি যখন মনে করবেন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবেন, আবার যখন মনে করবেন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যাবেন, তা হয় না। উনি মামার বাড়ির বাগানে পায়চারি করছেন না। কে ওই মহিলা যে যখন তখন হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? হাসপাতাল সুপার কি ওটাকে মধুচক্র করেছেন? এটা অকারণ নাটক হচ্ছে।"