Nepal Earthquake: কেন হয় ভূমিকম্প? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Earthquake: হিমালয় তৈরির সময় থেকেই ইউরেশীয় ও ভারতীয় প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। যার জেরে এই দুই প্লেট বরাবর তৈরি হয়েছে অজস্র চ্যুতি ও খোঁচা। নিরন্তর ঘর্ষণের জেরে যে চ্যুতিগুলিতে শক্তিসঞ্চয় হচ্ছে। সঞ্চিত শক্তির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হলেই শুরু হয় ঝাঁকুনি।
মাটির নীচে কীভাবে তৈরি হয় কম্পন? ডজনখানেক ছোট-বড় অংশ নিয়ে গঠিত ভূত্বক। যা টেকটনিক প্লেট নামে পরিচিত। এর নীচেই থাকে গলিত ও অর্ধগলিত ম্যাগমা। তরল ম্যাগমার ওপর ভাসমান দু’টি মহাদেশীয় প্লেটের স্থান পরিবর্তনের সময় প্লেটগুলির কিনারায় প্রবল পীড়নের সৃষ্টি হয়। পীড়ন যখন বড়সড় চ্যুতির সৃষ্টি করে এবং এর অন্তর্নিহিত শক্তি বের করার চেষ্টা করে, ঠিক তখনই কেঁপে ওঠে ভূপৃষ্ঠ। প্লেটগুলি একে অপরের সাথে ঘষা খেতে খেতে কখনও কখনও একটি প্লেট অপরটির ওপরে বা নীচে চলে যায়।
তীব্রতা অনুযায়ী ভূমি কম্পকে চারভাগে ভাগ করা হয়৷ রিখটার স্কেলে ৪.৯ মাত্রা পর্যন্ত বলা হয় মৃদু কম্পন৷ ৫ থেকে ৬.৯ মাত্রা পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি কম্পন৷ ৭ থেকে ৭.৯ মাত্রা পর্যন্ত বলা হয় তীব্র ভূমিকম্প৷ ৮ মাত্রার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র কম্পন৷
হিমালয়ের পাদদেশ থেকে কলকাতার দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটারের আশপাশে। হিমালয় উপত্যকায় ভূমিকম্প হলে তার প্রভাব এ শহরে পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।