Firing at Belgharia: 'বিজেপি ক্রমাগত প্ররোচনাতে পা দিলে চলবে না', বেলঘড়িয়া গুলিকাণ্ডে মন্তব্য ব্রাত্য বসুর
তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা, গুলি চালানোর অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত বেলঘরিয়া (Belgharia)। অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে বন্দুকের বাট দিয়ে ২ তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। আক্রান্ত কর্মীরা বর্তমানে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটরবাইক। তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাইক আরোহী ৮-১০ দুষ্কৃতী দেশপ্রিয় নগরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে চড়াও হয়ে ২ তৃণমূল কর্মীকে টেনে বের করে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করে। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। রাতেই ঘটনাস্থলে যান মদন মিত্র। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের দাবি, এলাকায় প্রোমোটিংয়ের নামে দুষ্কৃতীরাজ ও সিন্ডিকেটের দাপট বেড়েছে। পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, মদন-ঘনিষ্ঠরাই হামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, একটি ক্লাবের কতৃত্ব কাদের হাতে থাকবে, তাই নিয়েই এই ঘটনার সূচনা। প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনার পরের মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ।
বেলঘড়িয়া (Belgharia) গুলি কাণ্ডে উঠে এল নতুন তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করেই বিবাদের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পর অভিযুক্তের বাড়িতেও হামলা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়িতে। মূল অভিযুক্তের বাবা জানিয়েছেন যে তাঁর ছেলে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি, ওই ক্লাব দখল করা নিয়ে বারবার দুই দলের মধ্যে বচসা হয়। সেখানে গুলি চালানোর ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ এই নিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, "নেতাদের শান্ত থাকতে হবে। বিজেপি ক্রমাগত প্ররোচনা দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য়েও আমাদের শান্ত থাকতে হবে। প্ররোচিত হলে হবে না। যে তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আমরা তাঁর পাশে আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পাশে আছেন।"